ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামী বছর থেকে পর্যটনের উন্নয়ন শুরু হবে ॥ মেনন

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ৫ জুলাই ২০১৫

আগামী বছর থেকে  পর্যটনের উন্নয়ন  শুরু হবে ॥ মেনন

স্টাফ রিপোর্টার। চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে কম বরাদ্দ পেয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয়। পর্যটন বর্ষ শুরুর জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, বরাদ্দ তার চেয়েও অনেক কম। এর পরও আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। আর এটি করতে বেসরকারী বিনিয়োগই আমাদের ভরসা। শনিবার দুপুরে মহাখালীর হোটেল অবকাশে এ্যাভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন একথা বলেন। এ ছাড়া অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী দেশের বৃহত্তর ট্যুরিজম ফেয়ার। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহায়তায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে পর্যটন নিয়ে কাজ করা ১০ সাংবাদিকের হাতে ফেলোশিপ সার্টিফিকেট ও ৬০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। মন্ত্রী বলেন, এ খাতে যেভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন ছিল সেটি তৈরি হয়নি। ২০১৬-তেই যে সব উন্নয়ন হয়ে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটুকু বলা যায়, ২০১৬ থেকে পর্যটনের উন্নয়ন শুরু হবে। পর্যটন বর্ষ পালনের জন্য এ খাতের অংশীজনদের নিয়ে কমিটি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। রাশেদ খান মেনন বলেন, শুধু কানেক্টিভিটি করলেই হবে না, একই সঙ্গে পর্যটকদের আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। কক্সবাজারে ১২৫ একর জমির ওপর এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন তৈরি করা হবে। দরপত্র ডাকা হবে আগামী ৩০ জুলাই। কক্সবাজার ছাড়াও খুলনার মংলা ও সুন্দরবন এবং পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে ঘিরেও উন্নয়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজারকে একটি সেলেবল (বিক্রয়যোগ্য) প্রোডাক্ট হিসেবে তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। এর জন্য কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে, আগামী ৩০ মাসের মধ্যে এটি তৈরি হয়ে যাবে। রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন এবং রেললাইন সংযোগের বিষয়েও কাজ চলছে। ২০১৬ সালের মধ্যে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল সংযোগ দেয়া হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ককে চার লেন ও কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভকে দুই লেনে উন্নীত করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন সচিব খুরশেদ আলম চৌধুরী, ট্যুরিস্ট বোর্ডের সিইও আখতারুজ্জামান খান কবির ও পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী ও পাক্ষিক বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহেদুল আলম। অক্টোবরে ট্যুরিজম ফেয়ার ॥ এদিকে অক্টোবরে বিশাল পরিসরে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ট্যুর অপারেটরস্ এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার-২০১৫’। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলা সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত খোলা থাকবে। শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ট্যুর অপারেটরস্ এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও প্রিয়ন্তী এ্যাডিট এ্যান্ড ইফেক্টস’র যৌথভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে দুই যৌথ আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘টোয়াব’র সভাপতি প্রফেসর ড. আকবরউদ্দিন আহমদ এবং প্রিয়ন্তী এ্যাডিট এ্যান্ড ইফেক্টসের নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন পাঠান আগামী তিন বছরের জন্য মেলা আয়োজনের চুক্তি স্মারকপত্র স্বাক্ষর করে। বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ওই মেলায় দেশী-বিদেশী প্রায় ২০০ টি স্টল অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের মোট ১২ দেশ মেলায় অংশ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পর্যটন খাতের বিকাশ নিয়ে মেলায় একাধিক সেমিনারের আয়োজন থাকবে বলেও জানান আয়োজকরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টোয়াব’র পরিচালক ফাইজুল ইসলাম হিরু, মোঃ রফিকুজ্জামান, ওয়াজির সাত্তারসহ দুই প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
×