ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশবাসীকে বিশ্বকাপের হতাশা ভোলাতে চান এ্যাগুয়েরো, আর্জেন্টিনাকে ভয় পাচ্ছে না চিলি

মেসি-ব্রাভোর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই!

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৪ জুলাই ২০১৫

মেসি-ব্রাভোর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোপা আমেরিকার ফাইনাল মহারণে মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা ও স্বাগতিক চিলি। আকর্ষণীয় এই দ্বৈরথের আগে লিওনেল মেসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ক্লাউডিও ব্রাভো। এ দু’জন হচ্ছেন ফাইনাল লড়াইয়ে দু’দলের অধিনায়ক। মেসি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক আর ব্রাভো চিলির। মজার বিষয় হচ্ছে, এ দু’জন আবার ক্লাব দল বার্সিলোনার সতীর্থ। ২০১৪ সালে রিয়াল সোসিয়েদাদ ছেড়ে কাতালান ক্লাবে নাম লেখান ৩২ বছর বয়সী ব্রাভো। ন্যুক্যাম্পে নিজের প্রথম মৌসুমেই (২০১৪-১৫) চৌকস নৈপুণ্য দেখিয়েছেন চিলিয়ান গোলরক্ষক। আস্থার সঙ্গে গোলবার সামলে সবার আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। এক বছরেই মেসির সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে ব্রাভোর। সেই মেসিকে রোখার দুঃসাধ্য কাজটিই এবার করতে হবে ব্রাভোকে। যে কোন গোলরক্ষকের কাছেই যমদূত মেসি। নিমিষেই এই ক্ষুদে জাদুকর দেখাতে পারেন ভেল্কি। তাই তো প্রথম শিরোপার খোঁজে থাকা চিলির প্রধান চ্যালেঞ্জ মেসিকে অকার্যকর করা। এটা নিয়ে কৌশল খুঁজছে জর্জ সামপাওলির দল। ক্লাব সতীর্থ মেসিকে সামলানোর কঠিন কাজটি করতে চান ব্রাভো। তবে এর আগে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের প্রশংসা করেছেন তিনি। বলেছেন, মেসির তুলনা সে নিজেই। সে একাই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দিতে পারে। মেসি তার ক্যারিয়ারে যা করেছে, সেদিকে তাকালে দেখবেন, এটা অসাধারণ। এরপর আসল কথা বলেন চিলি অধিনায়ক, সে (মেসি) একাই খেলছে না। পুরো আর্জেন্টিনা দল নিয়েই চিন্তা করতে হবে আমাদের, শুধু লিওকে নিয়ে নয়। তবে ফাইনালে আমরা তাঁকে আটকে রাখার চেষ্টা করব। আমার বিশ্বাস আমার দল সেটা ভালমতোই পারবে। শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ‘ঋণ’ শোধ করতে চান দলটির তারকা স্ট্রাইকার সার্জিও এ্যাগুয়েরো। ম্যানচেস্টার সিটির এ তারকা জানিয়েছেন, ব্রাজিল বিশ্বকাপে দেশকে যা দিতে পারেননি। কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে তা দিতে চাই। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এ্যাগুয়েরো। লিওনেল মেসির নেতৃত্বে ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হেরে যায় তারা। সাক্ষাতকারে এ্যাগুয়েরো বলেছেন, আমি সবসময় বলে আসছি, বিশ্বকাপে কি ঘটেছে। কারণ আমি সে সময় ইনজুরিতে ছিলাম। নিজের সেরা অবস্থানে ছিলাম না। বিশ্বমঞ্চের পর বড় কোন ইভেন্টে এবার আমি দেশের জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছি। আর নিজেকে সেরা অবস্থানে রেখেছি বলে মনে করছি। তিনি আরও বলেন, আমি এখানে এসেছি কোপা আমেরিকার শিরোপা নিজ দেশে নিয়ে যেতে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি বিশ্বকাপের শিরোপা না পাওয়ার বেদনা আর্জেন্টাইনদের মন থেকে ভুলিয়ে দিতে। দেশের মানুষকে কোপা আমেরিকার শিরোপা উপহার দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাই। আরাধ্য শিরোপা জয় করতে হলে শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে হারাতে হবে চিলির। কাজটিও কঠিন হলেও মেসি, মারিয়াদের ভয় পাচ্ছেন না জর্জ সামপাওলির শিষ্যরা। চিলির ডিফেন্ডার ইউহেনিও মেনা বলেন, আমরা ভীত নই। সবসময় যা করি, আমরা তাই করব। সামনে যে দলই আসুক না কেন, তাদের মোকাবেলা করব। প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট সম্মান করলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। বলেন, এই দুটি দল (চিলি ও আর্জেন্টিনা) সেরা ফুটবল খেলেছে, ফাইনালে ওঠা তাদের প্রাপ্য। এবার আমাদের জয়ের পালা। চিলির আরেক ডিফেন্ডার জোশে রোহাস বলেন, ২৮ বছর হয়ে গেল আমরা ফাইনাল খেলেছিলাম (১৯৮৭ সালের কোপা আমেরিকা)। এখন আমাদের জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। কোন কিছুই অসম্ভব নয়। আপনাদের ইতিহাস লিখে যেতে হবে। আমাদের দলটি দারুণ একতাবদ্ধ, খুবই শক্তিশালী।
×