ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধনেপাতা মরিচ বেগুনের অস্বাভাবিক মূল্য

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৪ জুলাই ২০১৫

ধনেপাতা মরিচ বেগুনের অস্বাভাবিক মূল্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আষাঢ়ের বর্ষায় মধ্য রমজানে তাতিয়ে উঠছে সবজির বাজার। অস্বভাবিক মূল্য বেড়েছে ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচের। শত টাকায় মিলছে না প্রতিকেজি বেগুন। একমাত্র আলু ছাড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি মিলছে না। মুরগি ব্যতীত চড়া মাছ ও গরুর মাংসের দাম। খুচরা পর্যায়ে দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। অথচ রোজার শুরুতে সবজিসহ সব ধরনের ভোগ্যও নিত্যপণ্য বিক্রি হয়েছে স্বাভাবিক দামে। সবজির দাম বাড়ায় কাঁচাবাজার অস্থির হয়ে উঠছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, পলাশী বাজার, ফকিরাপুল ও মালিবাগ বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সরকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক সপ্তায় ব্রয়লার মুরগি, রসুন ও আদার দাম হ্রাস পেয়েছে। আর বৃদ্ধি পেয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেল, ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও দেশী মুরগির দাম। ঈদ সামনে রেখে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। তবে সবজির বাজার অস্থিরতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাপ্তান বাজারের সবজি বিক্রেতা মনির জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানের সবজি ক্ষেতে বর্ষার পানি জমে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। অনেক স্থানে সবজি পচে গেছে। এ কারণে শাক-সবজির দাম বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, রোজার শুরুতে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো, শসা, ধনেপাতাসহ অন্যান্য সবজির দামও চড়া। কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী জামিল জানালেন, বর্ষার কারণে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। অনেক স্থানে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে সবজির দাম বেশি নেয়া হচ্ছেও বলেও তিনি জানান। এ বাজারের সবজি ক্রেতা হাজী জালাল উদ্দিন জানালেন, পাইকারি মূল্যের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে খুচরা পর্যায়ে দ্বিগুণ দাম নেয়া হচ্ছে। রাজধানীর প্রতিটি বাজারে এ অবস্থা বিরাজ করছে। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্বল বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা। চাল আটার বাজারে স্বস্তি ॥ গত দুই মাস ধরে চালের বাজারে স্বস্তি রয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কেজিপ্রতি সরু চাল নাজিরশাইল ৪৬Ñ৫২ টাকা, মিনিকেট (পুরাতন) ৪০Ñ৪৬ টাকা, মাঝারি চাল (পারিজা, হাসকি, বিআর-২৮) ৩৪Ñ৩৮ টাকা, মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) ৩০Ñ৩২ টাকা, সুগন্ধি চাল (কালিজিরা, চিনিগুঁড়া) ৭০Ñ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা ও ময়দার বাজারেও তেমন কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি। কেজিপ্রতি দুই টাকা কমে আটা খোলা সাদা) ২৬Ñ৩০ টাকা, ময়দা (খোলা ও সাদা) ৩২Ñ৩৪ টাকা, এক টাকা কমে আটা (পলিপ্যাক) ৩২Ñ৩৫ টাকা, ময়দা (পলিপ্যাক) ৩৯Ñ৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিপ্রতি মসুরের দেশী উন্নত ডাল ১১৫Ñ১২০ টাকা, বিদেশী ৯৫Ñ১০০ টাকা, মুগের ডাল (সরু) ১১৫Ñ১২০ টাকা, মোটা ৯৫Ñ১০০ টাকা, ছোলা (বিদেশী আস্ত) ৬৫Ñ৭০ টাকা, খেসারি ৫২Ñ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে কেজিপ্রতি দশ টাকা কমে দেশী রসুন বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
×