ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৩ জুলাই ২০১৫

ঝলক

হাতি তাড়াতে উট মশা মারতে কামান দাগার প্রবাদটি অজানা নয়। এবার জানা গেল হাতি তাড়াতে উট পোষার বিষয়টি। বিষয়টি প্রবাদ নয়, বাস্তবই। বাস্তব বলে অভিনবও। সত্যিই, কত অজানারে! হাতির হানা থেকে রেহাই পেতে উট কেনার এই অভিনব কৌশল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বন দফতারের। প্রতিবেশী দেশটির পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খ-ের বনসংলগ্ন গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের এ যুগেও হাতির হানা সহ্য করতে হয়। পালকে পাল হাতির হানা ওই গ্রামগুলোতে নিত্যদিনের ঘটনা। ক্ষেতের ফসলের বিনষ্ট থেকে ঘরবাড়িতে হাতির হানা কোনটি বাদ যায় না। ঘটে প্রাণহানিও! হাতির তা-বে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীকে রক্ষা বন দফতরেরই দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে কম নাকানিচুবানি খেতে হতো না বনকর্মীদের। এখনও হচ্ছে। তবে উট পোষার এই অভিনব কৌশল তাদের হাড়ে সামান্য হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে খুঁটি জেলার একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি হাতির পাল। শুরু হয় তা-ব। কিছুতেই হাতি তাড়াতে অর্থাৎ হাতির সঙ্গে পেরে উঠছিল না গ্রামবাসী ও বনকর্মীরা। সেই সময়ই আবিষ্কৃত হয় এই অভিনব কৌশল। কোন কিছুতেই যখন কাজ হচ্ছিল না, তখন ওই হাতির পালের সামনে ওই গ্রামের এক বাসিন্দার দু’টো উট সামনে এসে পড়ে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে উট দেখে হাতি লেজ গুটিয়ে চম্পট দেয়। বন বিভাগের উট কেনা ও পোষার এই অভিনব কৌশল অবলম্বনের কারণ বলতে গিয়ে উপরোক্ত বিষয়টি বন দফতরের বিবেচনায় ছিল বলে স্বীকার করেছেন সেখানকার বন কর্মকর্তা নওয়াল পাসোয়ান। পশুপতি সিংহ হলেও কলেবরে হাতি প্রকা-। হিংস্রতাও কম যায় না সে। কিন্তু উট দেখে কেন হাতির পলায়ন? পশু বিশারদের মত, আবরের মরু অঞ্চলে বেড়ে ওঠা উট হাতির সামনে একেবাড়েই নতুন জন্তু। এই নতুন জন্তুকে দেখে ঘাবড়ে যায় হাতি। এ কারণেই খ পলায়তি স জিবতী। অবশ্য, হাতির ঘ্রাণ শক্তি প্রবল। উটের গায়ের উৎকট গন্ধ হাতির পচ্ছন্দ নয়। এ কারণেও হাতি চম্পট দিয়ে থাকতে পারে। কারণ যাই হোক। উট পুষে যদি হাতির তা-ব থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তাহলে উট পোষা মন্দ কী। দশ মাসে পাঁচবার মা! আর্থিক দুর্নীতির অজস্র নজির রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় এক নারী যে নজির দেখালেন সেটা যেন সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জননী সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প থেকে আর্থিক সুবিধে নিতে মাত্র ১০ মাসে পাঁচ বার ‘মা’ হয়েছেন আশা দেবী নামে ওই নারী, তাও ৬০ বছর বয়সে! উত্তর প্রদেশের বাহরায়চ’র এ ঘটনা পুরো ভারতে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলানিউজ খবরটি জানিয়েছে। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রাজ্যগুলোতে সন্তান জন্ম দেয়া নারীদের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে ২০০৫ সালে ‘জননী সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। উত্তর প্রদেশসহ উত্তরাঞ্চল, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, অসম, উড়িষ্যা, রাজস্থান ও জম্মু-কাশ্মীর এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। প্রকল্পে শহর ও গ্রামাঞ্চলের নারীদের সন্তান প্রসবের পর বিশেষ আর্থিক সাহায্য করে কেন্দ্র, যেন মা ও শিশু পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। গ্রামাঞ্চলে এই ভাতা বাবদ ১ হাজার ৪০০ রুপী দেয়া হয়। উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, অভিযুক্ত আশা দেবী ‘জননী সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প থেকে ভাতা নিতে ১০ মাসে ৫ বার ‘জন্মদাত্রী’ দেখিয়েছেন নিজেকে। এ ঘটনা সামনে আসে কয়েক দিন আগেই। আশা দেবী সর্বশেষ চার মাসে নিজেকে ৩ বার জন্মদাত্রী দেখিয়ে ‘জননী সুরক্ষা যোজনা’র অর্থ চাইলে সন্দেহ হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানালে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে দেখা যায়, ৪ মাসে ৩ বার ‘মা’ হওয়া আশা দেবী ১০ মাসে মোট ৫ বার সন্তান প্রসব করেছেন! তদন্তকারীরা বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে প্রকল্প থেকে এক হাজার ৪০০ রুপী নেন আশা দেবী। এরপর মার্চেও তিনি সন্তান জন্ম দেয়ার কথা বলে অনুদান নেন। তারপর আবার ২০ মে তৃতীয় দফায় সন্তান জন্মদাত্রী মা হিসেবে অর্থ দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক সুবোধ শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিভিন্ন ব্যাংক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে একটি রেকর্ড চেয়েছি। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর পুষ্টিকর খাদ্যের যোগানের জন্যই সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, প্রকল্পটির এমন অপব্যবহার হচ্ছে।’ বিলুপ্তির পথে চীনের মহাপ্রাচীর সভ্যতা গড়ে মানুষই। তাই তথাকথিত সভ্য বিশেষণটি তারই ভূষণ। কিন্তু এই সভ্য মানুষেরই নির্বিচার কর্মকা-ের কারণে প্রকৃতি, জলবায়ু জীব-জন্তু, বন, নদী, সাগরÑ সবকিছুর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। এই তালিকায় নাম লেখাল চীনের মহাপ্রাচীরও। বিশ্বের সপ্তাশ্চার্যের একটি এবং ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অন্যতম চীনের মহাপ্রাচীর বর্তমানে বিলুপ্তির প্রহর গুনছে। চীনের সংবাদপত্র বেজিং টাইমসের প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এমনই আভাস মিলছে। ওই রিপোর্ট মতে, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে নির্মিত এই প্রাচীরের মোট দৈর্ঘ্য ছয় হাজার তিন শ’ কিলোমিটার। মানুষের নির্বিচার কর্মকা-ের কারণে এক হাজার নয় শ’ বাষট্টি কিলোমিটার ইতোমধ্যে নাই হয়ে গেছে। শতাংশ হিসেবে ৩০ ভাগই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া না হলে অদূর ভবিষ্যতে একেবারেই বিলীন হয়ে যাবে আশ্চর্য এই প্রাচীর। মগজ ধোলাই! মগজ ধোলাই বা মস্তিষ্ক প্রক্ষালন করা বেজায় কঠিন। কিন্তু সুকৌশলী জঙ্গীগোষ্ঠীর জন্য এ যে ছেলেখেলার মতো বিষয় তা টের পাওয়া যায় বোকো হারামের মস্তিষ্ক প্রক্ষালন কর্মসূচীর মাধ্যমেই। এই জঙ্গীগোষ্ঠী নাইজিরিয়াজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে এদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অপহরণ এবং এরপর এদের মগজ ধোলাইয়ের কারণে। কেননা এরা লেখাপড়াবিরোধী। গত বছর এপ্রিলের দিকে এরা ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ৫৭ জন পালিয়ে এলেও বাকিরা আসতে পারেনি। এই বাকিদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করা হয়েছে যে, এরা এখন দ-মু-ের কর্তা। এরা নিজেরা নিজের হাতে শাস্তি দেয় বিধর্মী খ্রীস্টানদের। বন্দীদের পাঠ করায় কোরান শরীফ। আর পাঠ না করলে কপালে গুলি করে কিংবা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে গলা। এরা ভুলে গেছে এদের অতীত পরিচয়, হয়ে উঠেছে নির্মম জঙ্গী। একেই বলে জঙ্গীদের মস্তিষ্ক প্রক্ষালন। আবারও মসলিন সেই কবেকার কথা, এদেশের মানুষের ঐতিহ্য ছিল মসলিন। ইতিহাস বলে, আমাদের মসলিন গায়ে জড়িয়ে পরতেন মিসরীয় রানী ক্লিওপ্লেট্রা। ইংরেজরা আমাদের এই মসলিনকে ভীষণ হিংসা করত। তাদের নির্মম অত্যাচারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঢাকার মসলিন। ঐতিহাসিক দিক দিয়ে ঢাকার মসলিন বিশ্বখ্যাত। তবে ঢাকার ঐতিহ্যের সেই মসলিনকে ফিরে না পেলেও মসলিনকে নিয়ে বিস্তর গবেষণা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে এক ধরনের মসলিন কাপড়। মসলিন কাপড়ের পীঠস্থান নদীয়া থেকে রিসোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে প্রথম এক্সক্লুসিভ মসলিন শোরুম উদ্বোধন করলেন পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ভারতের রাজ্য সরকারের নিরলস পরিশ্রমে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতর শুধু এই শোরুমটি তৈরি করেছে। আর এর নাম দেয়া হয়েছে ক্লাব মসলিন। ক্লাব মসলিনের মূল সজ্জা পরিকল্পনা এসেছে ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের হাত ধরে। ক্লাব মসলিনের এই শোরুমে শাড়ি ছাড়াও রয়েছে নানা দাম ও রঙের মসলিন কুর্তা, সালোয়ার, পাঞ্জাবি, ব্যাগ। ক্লাব মসলিন শোরুমের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা হীরণ, অগ্নিমিত্রা পল, অভিষেক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্র দফতরের রাজীব সিনহা, ময়ূর বসাক। -রেজা নওফল হায়দার
×