ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভুটানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুত প্রকল্প স্থাপনের আগ্রহ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৭:০১, ৩ জুলাই ২০১৫

ভুটানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুত প্রকল্প স্থাপনের আগ্রহ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জলবিদ্যুত প্রকল্প স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ দু’দেশের এবং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত চাহিদা মেটাতে এ উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বৃহস্পতিবার গণভবনে ভুটানের সফররত অর্থমন্ত্রী ল্যেনপো ন্যামগে দরজির সঙ্গে বৈঠককালে বলেন, অংশীদারিত্ব বিনিয়োগ কিংবা সরাসরি বিদ্যুত কেনার ভিত্তিতে এ ধরনের প্রকল্প নেয়া যায়। খবর বাসসর। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহ্সানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চল ও এর বাইরেও কানেকটিভিটি বাড়ানোর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে জলবিদ্যুত এবং কানেকটিভিটি সম্পর্কিত বিষয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক উভয়ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয়, উপ-আঞ্চলিক ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের উন্নয়ন কৌশলের অগ্রভাগে রয়েছে দারিদ্র্য নিরসন ও বৈষম্য নির্মূল করা। এর ফলে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে অসাধারণ অগ্রগতির পাশাপাশি সন্তোষজনক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এ অঞ্চলের চারটি দেশের মধ্যে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রথম বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে কানেকটিভিটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনে মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তা এই চার দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর করার কাজ এগিয়ে চলছে, ভুটান ও নেপাল এটি ব্যবহার করতে পারবে। অন্যদিকে পায়রা, মংলা এবং চট্টগ্রাম বন্দরও নেপাল ও ভুটান ব্যবহার করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ভুটানই প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল। এজন্য দেশটি বাংলাদেশের হৃদয়ে বিশেষ স্থান রয়েছে। বৈঠকে ভুটানের অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে জোরদার হবে। দেশ দু’টির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে। তিনি বলেন, তার বিকাশমান গণতন্ত্রের দেশ ভুটান বিভিন্ন সামাজিক খাত ও অবকাঠামো উন্নয়নে অধিক বরাদ্দের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার নীতি অনুসরণ করছে। এ প্রসঙ্গে ন্যামগে দরজি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, ২০১৫Ñ’১৬ অর্থবছরের জন্য তার দেশ বাংলাদেশের মতো সবচেয়ে বড় বাজেট প্রণয়ন করেছে। সফররত অর্থমন্ত্রী তার দেশের রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর সুবিধামতো সময়ে ভুটান সফরের আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
×