ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শতভাগ নির্দোষ দাবি ফারাহর

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ২ জুলাই ২০১৫

শতভাগ নির্দোষ দাবি ফারাহর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাথলেটিকসের জগতের নামী কোচ আলবার্তো সালাজার তাঁর একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসা দৌড়বিদদের নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন করিয়েছিলেন বলে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠে এসেছে। এরপর থেকেই এ্যাথলেটিকসের দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। কারণ ওই একাডেমিতেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ব্রিটিশ এ্যাথলেট মোঃ ফারাহ আর আমেরিকান গ্যালেন রাপ, যাঁরা ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে পদক জিতেছিলেন। তবে এ সবকিছুকেই অস্বীকার করেছেন ফারাহ। এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া সাক্ষাতকারে ফারাহ নিজেকে শতভাগ নির্দোষ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা অর্জন করেছি তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আর কঠোর অনুশীলনেরই ফসল হলো আমার সব অর্জন। এই অর্জনের জন্য আমার জীবনের অর্ধেক সময় লেগেছে। আমি সাধারণ মানুষকে বলতে চাই যে, সাফল্যের জন্য আসলে সংক্ষিপ্ত কোন উপায় নেই। এ ব্যাপারে আমি ১০০ ভাগ নির্দোষ।’ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় জানিয়ে এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি পদক জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। তবে তার আগে আমি মানুষকে বোঝাতে চাই যে, আমি শতভাগ নির্দোষ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমি কোন ধরনের ড্রাগ সেবন করিনি। প্রতারণা করা আমার কাজ নয়। এটা সঠিক নয়। জানি না এর পেছনে আমার নামটা কেন? এমন খবরে আমি খুবই ব্যথিত। আমি যা শুনেছি তা মোটেই বিশ্বাস করতে পারছি না।’ মোঃ ফারাহ লন্ডন অলিম্পিকে ৫ হাজার ও ১০ হাজার মিটার উভয় দৌড়েই স্বর্ণপদক জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই আলবার্তো সালাজারের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, সালজারের একাডেমিতে অত্যন্ত কম পরিমাণে নিষিদ্ধ ওষুধ এ্যাথলেটদের সেবন করানো হতো, যাতে ডোপিং করে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সও উন্নত করা যায়, আবার ড্রাগ টেস্টে তা ধরাও না পড়ে। পেশাদার এ্যাথলেটরা কোন নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন করছেন কিনা, তার ওপর নজর রাখার নিয়মকানুন অত্যন্ত কঠিন। তাদের নিয়মিত নানা রকম পরীক্ষা করাতে হয়। এখন নিয়ম হয়েছে যে, কোন এ্যাথলেট যদি পর পর তিনটি টেস্টে উপস্থিত হতে না পারেন তাহলেই তিনি চার বছর নিষিদ্ধ হবেন। এর মধ্যেই ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানিয়েছে, মোঃ ফারাহ ২০১০ এবং ২০১১ সালে অর্থাৎ অলিম্পিকের আগে দুটি ড্রাগ টেস্টে উপস্থিত হতে পারেননি।
×