ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুধু গ্রীস নয়, চীন ও পুয়ের্টোরিকোও সমস্যামুক্ত নয়

ট্রিলিয়ন ডলার ঢেলেও ঋণ সঙ্কট কাটছে না

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২ জুলাই ২০১৫

ট্রিলিয়ন ডলার ঢেলেও ঋণ সঙ্কট কাটছে না

বর্তমান বিশ্বে কেবল গ্রীসই গভীর ঋণ সঙ্কটে পড়েনি। অন্য অনেক পুয়ের্টো রিকোও অর্থনেতিক সমস্যায় পীড়িত। দেশগুলোতে এমন অনেক সমস্যা আছে ১০ লাখ কোটি ডলারের তহবিল যোগালেও সে সবের সুরাহা সম্ভব নয়। বিশ্বজুড়ে বেস্তীর ব্যাংকগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবেলায় ওই বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে। নিম্নমানের এই অর্থস্ফীতি অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি বিকাশে, বেকারত্ব হ্রাসে এবং আতঙ্ক নিবারণে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। তবে, এ ধরনের অর্থপ্রবাহ গত সোমবারের মতো দিনটিকে ভুলিয়ে দিতে পারেননি, যখন আতঙ্ক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বাজারগুলোকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সে সময় শেয়ার ও বন্ড বাজারের ব্যাপক দরপতন ঘটেছিল গ্রীস ও পুয়ের্টো রিকো থেকে আসা ঘোষণায়। চীনে শেয়ারবাজারের তীব্র দরপতন আমাদের এ কথাটাই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, একগুঁয়ে সমস্যাবলী বৈশ্বিক-অর্থনীতিতে ওত পেতে আছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ শ্বাসরোধকারী ঋণের বোঝা বিশ্বের সর্বত্র সরকারগুলোর ওপর চেপে বসে আছে। গ্রীসের সরকার বার বার তার ঋণের বাধ্যবাধকতার কিছু অংশ থেকে স্বস্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আর পুয়ের্টো রিকোর গবর্নর রবিবার বলেছেন, তাদের ঋণ ‘পরিশোধের সাধ্য নেই।’ উভয় ঋণ গ্রহীতার বিষয়টি চরম। তবে উচ্চ হারে ঋণ গ্রহণ, তা কর্পোরেশন বা সরকার যারই নেয়া হোক না তা ব্রাজিল, তুরস্ক, ইতালি এবং চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব অর্থনীতিগুলোকে সঙ্কটে ফেলে দিচ্ছে। এদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ও তাদের ব্যস্ত টাকা ছাপানোর মেশিনগুলো ঋণগ্রস্ত দেশের বোঝা কমাতে অনেক কিছুই করতে পারে। লোম্বার্ড স্ট্রিট রিসার্চের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডায়ানা চয়েলেভা বলেন, ‘মুদ্রানীতি একটি সাময়িক উপশমের মতো হতে পারে।’ ‘এটি কোন নিরাময় নয়।’ ‘সোমবার গ্রীসের ব্যাংকগুলোর বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউরো থেকে বিশৃঙ্খলভাবে বিদায়ের উদ্বেগ সৃষ্টি করে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের শেয়ারবাজারের ব্যাপক দরপতন ঘটে। -ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস
×