ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জীবন সায়াহ্নে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার নিরাপদ আশ্রয় শান্তি নিবাস

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ১ জুলাই ২০১৫

জীবন সায়াহ্নে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার নিরাপদ আশ্রয় শান্তি নিবাস

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ আশ্রয়হীন প্রবীণদের পাশে দাঁড়াতে সরকার কক্সবাজার শহরের উপকণ্ঠে লিংক রোড বিসিক এলাকায় সম্পূর্ণ সরকারী খরচে গড়ে তোলা হবে অসহায় প্রবীণদের আশ্রয় কেন্দ্র ‘শান্তিনিবাস’। যেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন বয়স্ক লোক বসবাস করবেন। কক্সবাজার জেলার মহীয়সী নারী হিসেবে পরিচিত ও অহেতুক জনগণকে কষ্ট না দিয়ে খালেদা জিয়াকে সৎপথে ফিরে আসতে কয়েকবার নসিহতকারী নেত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়রে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী আসন-৫০ এর সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আরা হক অবহেলিত বৃদ্ধদের জন্য ঐ নিবাস গড়ে তোলার মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ ও স্বামী পরিত্যক্তাসহ অসহায়দের ভাতা বাড়িয়েছে, বেড়েছে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, প্রতিবন্ধী, এতিম আর অসহায় বৃদ্ধদের জন্য শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা বলয়গড়ে তোলা হবে। এতিমরা যেমন অসহায়, অনেক বৃদ্ধকেও দেখার কেউ নেই। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দু’ধরনের অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ‘শান্তিনিবাস প্রকল্পের’ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু জোট সরকার তা বন্ধ করে দেয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি জেলাতেই আবার তা চালু করতে যাচ্ছে বলে জানান খোরশেদ আরা এমপি। ইতোমধ্যে ঝিলংজা মৌজার লিংক রোড বিসিক এলাকায় সরকারীভাবে এক একর জমি বরাদ্দ দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। জমি বরাদ্দের প্রায় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আরা হক এমপি। এই বৃদ্ধাশ্রম বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়। জমি অধিগ্রহণের পর বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। কক্সবাজারে বৃদ্ধাশ্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জেনে অসংখ্য বৃদ্ধ লোক খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দু’হাত তুলে মোনাজাত করেছেন বলে জানা গেছে। খোরশেদ আরা এমপি বলেন, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল অসহায় বৃদ্ধদের জন্য কক্সবাজারে শান্তি নিবাস বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলার। অনেকের জন্য বৃদ্ধনিবাস আসলে অতি প্রয়োজনীয় বিকল্প শন্তির নীড়। অনেক বৃদ্ধ আছেন, যার সন্তান নেই, নেই কোন নিকটাত্মীয়, যার কাছে তিনি শেষ দিনগুলো কাটাতে পারেন। এদের জন্য বৃদ্ধনিবাস হবে চমৎকার ব্যবস্থা। থাকা-খাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে, শেষ জীবনের অবসর সময়টাকে উপভোগের সুযোগ করে দেয়া হবে ওই বৃদ্ধাশ্রমে। তাদের সারা জীবনের অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি, শেষ সময়ের সম্মান ও নিরাপত্তা দেয়ার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই গড়ে তোলা হবে বৃদ্ধাশ্রম। এখানে তারা নির্ভাবনায়, সম্মানের এবং আনন্দের সঙ্গে বাকি দিনগুলো কাটাতে পারেন।
×