ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে উৎপাদন কমেছে কয়েকগুণ

টানা বৃষ্টিতে পচে যাচ্ছে সবজি

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ৩০ জুন ২০১৫

টানা বৃষ্টিতে পচে যাচ্ছে সবজি

সাজেদ রহমান, যশোর অফিস ॥ টানা বৃষ্টির কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সবজি চাষে। দিনের পর দিন বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে বেগুন, পটল, করলা, লাউসহ অন্যান্য সবজি। এজন্য উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, আগে সপ্তাহে যে সবজি এক মণ বাজারে নিয়ে যাওয়া হতো, এখন তা দশ কেজিও উঠছে না। এদিকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর সোমবার রোদ উঠলেও কৃষকরা হাসতে পারছেন না। তারা আশঙ্কা করছেন প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির পর হঠাৎ করে তীব্র রোদ পড়তে থাকায় বেগুনসহ অন্যান্য সবজির গাছ মারা যেতে পারে। এজন্য ক্ষেতে থাকা হাজার হাজার বিঘা জমির সবজি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোর সূত্রে জানা গেছে, দেশে যে পরিমাণ সবজি চাষ হয় তার বড় একটি অংশ হয় যশোরে। এখানে উৎপাদিত সবজি যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এজন্য সব মৌসুমেই যশোরের কৃষকরা সাধ্যমতো সবজি চাষ করেন। কৃষকরা জানান, এবারো তারা সব ধরনের সবজিই চাষ করেছেন। ফলনও ভাল হচ্ছিল। কিন্তু তীব্র ক্ষরার পর যশোরে বেশ কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলার দৌলতদিহি গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান, তিনি ৫ কাঠা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। গত সোমবার তিনি ওই ক্ষেত থেকে ৭০ কেজি বেগুন তুলেছিলেন। তারপর থেকে বৃষ্টি হতে থাকায় ফলন ব্যাপক কমে গেছে। সোমবার ওই জমি থেকে বেগুন উঠেছে মাত্র ১৭ কেজি। তিনি জানান, রমজান মাস হওয়ায় বাজারে সবজির যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি ভাল দামও পাচ্ছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কয়েকগুণ কমে যাওয়ায় তার অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের সবজি চাষী রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টির আগের সপ্তাহে তিনি ক্ষেত থেকে ৮ মণ পটল তুলেছিলেন। বৃষ্টির থামার পর সোমবার সেই ক্ষেত থেকে তিনি এক মণ পটলও তুলতে পারেননি। বৃষ্টিতে ফুল ঝরে ও পঁচে যাওয়ায় আগামী সপ্তায় উৎপাদন আরও কম হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। চুড়ামনকাটি গ্রামের সবজি চাষী জাহাঙ্গীর আলম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে বেগুন, পটল, লাউ, ভেন্ডি, করলা, ঝাল পচে যাচ্ছে। এছাড়া ঝরে পড়ছে ফুল। এজন্য উৎপাদন কমে গেছে কয়েকগুণ। এছাড়া অনেক জমিতে পানি জমে যাওয়ায় ওই সব ক্ষেতের সবজি গাছ মারাও যাচ্ছে। তিনি জানান, দীর্ঘ অনাবৃষ্টির পর ভারি বর্ষণ, তারপর আবার প্রখর রোদ পড়লে বেগুন, করলা, পটলসহ অন্যান্য সবজি গাছ মারা যেতে পারে। এজন্য তারা বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের কাছ থেকেও কোন পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে না। রূপগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে ঘরছাড়া নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৯ জুন ॥ রূপগঞ্জে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার মোগড়াকুল এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নির্যাতিত গৃহবধূ তানিয়া আক্তার জানান, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার ছিলম্পুর এলাকায় তাদের বাড়ি। গত এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে উপজেলার মোগড়াকুল এলাকার শরিফুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী শরিকুল ইসলাম, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম, ননদ শিরিন বেগম, দেবর সাইফুল ইসলাম এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপপ্রয়োগ করে আসছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। গত কয়েক দিন ধরে বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য ফের চাপ প্রয়োগ করেন। সংখ্যালঘু পরিবারকে ফের হুমকি রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় ভূমিদস্যুরা পৈত্রিক ভিটে দখলে নিতে এক সংখ্যালঘু পরিবারের বসতঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে ফের হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে ওই পরিবারকে প্রকাশ্যে এ হুমকি দেয়া হয়।
×