ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী গ্যাসের মজুদ আগামী ১৬ বছরেই শেষ হয়ে যাবে

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২৯ জুন ২০১৫

সংসদে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী গ্যাসের মজুদ আগামী ১৬ বছরেই শেষ হয়ে যাবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশের বর্তমান মজুদ গ্যাস আরও ১৬ বছর ব্যবহার করা যাবে। একই সময়ের মধ্যে ধীরে ধীরে গ্যাসের সরবরাহও কমে যাবে। রবিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান বিদ্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। মন্ত্রী জানান, দেশের প্রাথমিক উত্তোলনযোগ্য গ্যাস ছিল ২৭ দশমিক ১২ বিসিএফ (বিলিয়ন কিউবিক ফুট)। এর মধ্যে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত ১২ দশমিক ৯৬ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ১৪ দশমিক ১৬ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাস মজুদ রয়েছে। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ৮১৫ দশমিক ৯৮ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলিত হয়েছে। গ্যাস উত্তোলনের এই হার অব্যাহত থাকলে মজুদ গ্যাস ২০৩১ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। একইসঙ্গে গ্যাসে কমে যাওয়ার কারণে গ্যাস ফিল্ডগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাবে। ১২ বছরে ৮১ বিদ্যুত কেন্দ্র ॥ সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিগত ১২ বছরে দেশে মোট নতুন ৮১ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ছয় হাজার ৮৬৫ মেগাওয়াট। এই ৮১ বিদ্যুত কেন্দ্রের মধ্যে বর্তমান সরকারের দু’মেয়াদে ৬ বছরেই ৭২ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিন বছরে মাত্র ৭৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৫ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, বিগত ১২ বছরে বিদ্যুত খাতে যে ৮১ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, তার মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে ৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে ২১০ মেগাওয়াট, ২০০৫ সালে ২৮ মার্চ টঙ্গীতে ১০৫ মেগাওয়াট, ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ২৫০ মেগাওয়াট, একই বছর ১৬ ডিসেম্বর সামিট পাওয়ার (আরইবি) ১০৫ মেগাওয়াট এবং ওই বছর জুন মাসে আরপিসিএল ২১০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ৭০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যায়। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে ১৬৪ মেগাওয়াটের ৫ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তথ্যানুযায়ী, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সালে ৩৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ২০১০ সালে ৭৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৯ বিদ্যুত কেন্দ্র, ২০১১ সালে এক হাজার ৭৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২২ বিদ্যুত কেন্দ্র, ২০১২ সালে ৯৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১১ বিদ্যুত কেন্দ্র, ২০১৩ সালে ৬৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ বিদ্যুত কেন্দ্র, ২০১৪ সালে ৬৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৭ বিদ্যুত কেন্দ্র এবং ২০১৫ সালে ৮১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষে এই পর্যন্ত ভাড়ায় নির্মিত ৩১ কেন্দ্র বিদ্যমান এবং কেন্দ্রগুলোর বিপরীতে মোট বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা দুই হাজার ১৩৭ মেগাওয়াট। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৭৪৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৪ রেন্টাল এবং এক হাজার ৩৮৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৭ কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্র রয়েছে।
×