স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাত্র সাত মাস আগেই যে দলটি অন্ধকারের মধ্য দিয়ে চলছিল, নবেম্বরে জিম্বাবুইয়ে দেশের মাটিতে খেলতে আসাতেই সব আলোয় ভরে গেল। শুধু জয়ই হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলতেও দ্বিধা করেননি, ‘আমরাই ফেবারিট।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগেই তা বলেছেন। পাকিস্তানকে ‘বাংলাওয়াশ’ করেছে বাংলাদেশ। আর ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে সিরিজ জয়ের কথাও বলেছেন। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সাকিবের কথাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এবার যখন দক্ষিণ আফ্রিকা আর দুই দিন পরই বাংলাদেশে আসবে, দুই টি২০, তিন ওয়ানডে, দুই টেস্ট খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে; এবার আর সাকিব বাংলাদেশকে ফেবারিট বলছেন না। ভারত সিরিজের পরই ‘উইজডেন ইন্ডিয়া’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ভারত সিরিজ ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাফল্যের ধারাবাহিকতার নানা চিত্র তুলে ধরেছেন তিন ফরম্যাটের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ নিয়েও কথা বলেছেন। সেই সাক্ষাতকারটি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলোÑ
প্রশ্ন ॥ ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে কয়টি অর্জন, তার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়টাকে কোন অবস্থানে রাখবেন?
সাকিব আল হাসান ॥ অবশ্যই সেরা জয়ের মধ্যে একটি। তবে ২০০৭ বিশ্বকাপ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে পরের রাউন্ডে উঠে আসাটাই আমার দৃষ্টিতে সেরা। এরপরই ভারত, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মুহূর্তগুলোকে রাখব।
প্রশ্ন ॥ এই সিরিজ জয়ের আগে আপনার কি মনে হয়েছে ভারতের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জেতা সম্ভব?
সাকিব ॥ আসলে সেরকম ছিল না বিষয়টা! তবে আমাদের ড্রেসিং রুমে ইতিবাচক ‘মাইন্ডসেট’ ছিল। যেভাবে আমরা ঘরের মাঠে খেলছি, এখন বলতে পারি নিজেদের দিনে যে কোন দলকেই আমরা এখন হারাতে পারি। এবং আমার এখন মনে হয় আমরা নিজেদের এবং পুরো বিশ্বকে দেখাতে পেরেছি ওয়ানডেতে আমরা কতটুকু শক্তিশালী। অবশ্যই শেষ ওয়ানডেতে ভাল খেলতে পারিনি। ওই ম্যাচে ব্যাটিংটা যদি ঠিকমতো হতো তাহলে জিততে পারতাম। সার্বিকভাবে এই সিরিজটা অসাধারণ একটা সিরিজ ছিল। এখন আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দিকে তাকিয়ে আছি।
প্রশ্ন ॥ আপনার কি মনে হয় এখনকার পারফর্মেন্সের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশই ফেবারিট?
সাকিব ॥ না! আমি এখনও বিশ্বাস করি দক্ষিণ আফ্রিকাই ফেবারিট। কারণ ওদের ভাল বোলিং আক্রমণ রয়েছে। যদিও এটা সিরিজ যুদ্ধ! কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা সঠিকভাবেই বাস্তবায়ন করতে হবে। ভারতের বিপক্ষে চার পেসার খেলালেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর উল্টোটাও হতে পারে। তবে সবকিছু কোচ এবং অধিনায়কের ওপরই নির্ভর করছে।
প্রশ্ন ॥ টেস্টে বাংলাদেশ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। এর কারণ কী?
সাকিব ॥ আসলে টেস্ট ম্যাচ জিততে গেলে ২০ উইকেট প্রয়োজন। তবে যে পিচে আমরা খেলি সেগুলো মূলত ‘ফ্ল্যাট’। এখানে ব্যাটসম্যানরাই রান তুলতে পারে। তাই এসব পিচে উইকেট নেয়া কষ্টসাধ্যই। যদি আমরা কিছু ভাল বোলার তৈরি করতে পারি, যারা ইনিংসে ৫-৬ উইকেট নিতে পারবে। তাহলে খেলাটি অবশ্যই পাল্টে যাবে। বলতে গেলে এই পিচের কারণেই সংগ্র্রাম করতে হয়।