ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নতুন আলোচনা প্রত্যাখ্যান ইয়েমেন সরকারের

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৮ জুন ২০১৫

নতুন আলোচনা প্রত্যাখ্যান ইয়েমেন সরকারের

ইয়েমেনের সামরিক স্থাপনাগুলোতে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা শুক্রবার অব্যাহত থাকার প্রেক্ষিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হবার পর নতুন করে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজন নেই। খবর ডন অনলাইনের। সংঘর্ষ নিরসনে কোন রকম সমঝোতা ছাড়াই গত সপ্তাহে জেনেভায় আলোচনা শেষ হয়েছে। এই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৮০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহী ও সৌদি সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মনসুর হাদী ওই বৈঠকে কোন ধরনের ছাড় দিতে রাজি হননি। সৌদি আরবের সীমান্ত লাগোয়া উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের স্থানীয়রা জানিয়েছে, জাওয়াফ এলাকায় বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে। রাজধানী সানায় যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে। এর পাশাপাশি হুতিদের শক্তিশালী ঘাঁটি সাদা প্রদেশসহ মারিব, শাবওয়া, বাইয়্যেদা, এডেনের মধ্যাঞ্চল এবং দেশটির দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা চালানো হয়েছে। হাদি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ ইয়াসিন আবদুল্লাহ জানান, জেনেভায় নতুন আলোচনা শুরু করার কোন ইচ্ছা তার সরকারের নেই। শুক্রবার সৌদি সংবাদপত্র আসহারক আল-আওসাত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তার সরকার এর বদলে ২২১৬ নং প্রস্তাব বাস্তবায়নে যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সকল পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। হুতিরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে তাদের শহরগুলো থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়া, অস্ত্র প্রত্যাহার ও হাদিকে রিয়াদ থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। টানা বৃষ্টিপাতে গুজরাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি টানা বৃষ্টিপাতে ভারতের গুজরাট রাজ্যে সরকারী ও ব্যক্তিগত সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ৭০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে খাবার ফেলে দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে সরকার। খবর বিবিসির। বন্যাদুর্গত নিচু এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় এক হাজার জনকে হেলিকপ্টার দিয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত সৌরাষ্ট্র জেলার অনেক ঘরবাড়ি টানা বৃষ্টির ধকল সামলাতে না পেরে ধসে পড়েছে। ৯০ বছরেও গুজরাটে এমন বন্যা হয়নি বলে অনেক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় আমরেলি জেলার ৬০০ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক এলাকার ফসল তলিয়ে গিয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিতিন প্যাটেল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ বিতরণ চলছে। ব্যাপক বৃষ্টিতে জুনাগড়ের গির বনাঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বনটি বর্তমানে এশীয় সিংহের একমাত্র আবাস। বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত বনটি থেকে সিংহরাও বের হয়ে আসছে এবং এ পর্যন্ত পাঁচটি সিংহ মারা গেছে। এবার স্বাভাবিক সময়ের দুই সপ্তাহ আগেই ভারতজুড়ে বর্ষা ঋতু শুরু হয়ে গেছে বলে শুক্রবার এক আবহাওয়া কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
×