ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফুটবল লীগের খেলার জন্য প্রস্তুত মাঠ

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৭ জুন ২০১৫

ফুটবল লীগের খেলার জন্য প্রস্তুত মাঠ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সময়ের কাজ সময়ে না করলে কোন কাজই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়। বাফুফের হয়েছে এখন সেই দশা। যদিও অতীত অভিজ্ঞতায় তারা দাবি করতেই পারে স্বল্প সময়ে সব কিছু ‘ম্যানেজ’ করে ফেলার বিষয়টি। এখানে সবকিছু ম্যানেজ করা বলতে আসলে বোঝানো হয়েছে কোন খেলা বা টুর্নামেন্টের আগে অল্প সময়ের মধ্যে মাঠ প্রস্তুত করাটা। আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলের দ্বিতীয় পর্বের খেলা। যা হবে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। শেষের স্টেডিয়াম নিয়ে কোন সমস্যা না হলেও সমস্যা ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে। কেননা, এই স্টেডিয়ামে মাত্রাতিরিক্ত ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়া, পানি নিষ্কাষণে দুরবস্থার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে পানি জমে যাওয়া, মাঠ অসমতল হওয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা এবং শক্ত মাটিতে খেলে ফুটবলারদের ইনজুরিতে পড়া... এসব সমস্যা অনেক পুরনো। এজন্যই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ কয়েক মাস আগে বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, ‘এটা একটা রাবিশ ফিল্ড!’ কাজী মোঃ সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি হয়ে সারা বছর মাঠে ফুটবল রাখার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়ন করেছেন ঠিকই। কিন্তু মাঠ সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। এক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ওপর দিয়েই বয়ে যায় যত ঝড়। এখানে প্রিমিয়ার লীগ, ফেডারেশন কাপ, সুপার কাপ, স্বাধীনতা কাপ, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনাল, পাইওনিয়ার ফুটবলের ফাইনাল, অনুর্ধ-১৮ টুর্নামেন্টসহ এএফসির অনেক ম্যাচ হয়ে থাকে। তাছাড়া খেলা ছাড়াও এখানে হয়ে থাকে কনসার্টও। ফলে মাঠের বারোটা বেজে যায়। মাঠটির যে বেহাল দশা, এর জন্য অনায়াসেই দায়ী করা যায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি)। কারণ মাঠটি তাদের। নিয়ম অনুযায়ী তাদেরই মাঠ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। কিন্তু সেটি তারা করে না। ফলে বাফুফেও মাঠটিকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারছে না। একটা ম্যাচ শেষ হলে আরেকটা ম্যাচ শুরুর মাঝে মাঠকে যে বিশ্রাম দিতে হয় বা মাঠ খেলার উপযোগী করতে হলে যে সময় দরকার, সেটা না দিয়েই এখানে টানা খেলা চলে এ মাঠে। বর্ষাকালে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে খেলায় মাঠের অবস্থা হয়ে পড়ে শোচনীয়। মাঠের ঘাসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরমভাবে। নতুন ঘাস উঠতে, মাঠ খেলার উপযোগী করতে কমপক্ষে ২১ থেকে ২৮ দিন প্রয়োজন। অথচ এর আগেই এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় একের পর এক ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। তারপরও যথাসম্ভব মাঠটিকে খেলার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ‘প্রিমিয়ার লীগের দ্বিতীয় পর্বের খেলা প্রথমে ২০ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরে অবশ্য দুই দফা পিছিয়ে ২৮ জুন থেকে শুরু হচ্ছে। কিন্তু আমরা ২০ জুনের কথা মাথায় রেখেই মাঠটিকে পুরোপুরি খেলার উপযোগী করে ফেলেছি। মাঠ এখন পুরোপুরি খেলার জন্য প্রস্তুত। মাঠের ঘাসগুলো এবার ভিন্ন ডিজাইনে কাটা হয়েছে, যা দেখতে সুন্দর লাগবে ফুটবলপ্রেমীদের।’ উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রবিবার বিকেল সোয়া ৪টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বর্তমান লীগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড বনাম ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুখোমুখি হবে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড বনাম রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
×