ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

জিহাদী গ্রুপের কমান্ডার ও অর্থ যোগানদার ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২৬ জুন ২০১৫

জিহাদী গ্রুপের কমান্ডার ও অর্থ যোগানদার ৫ দিনের রিমান্ডে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠন বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপের কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও অর্থদাতা ফিরোজকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ৫ দিনের রিমান্ডে এনেছে ডিবি পুলিশ। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের মামলায় বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপের দুই সদস্যকে রিমান্ডে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে ডিবি পুলিশ বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপের কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে মিলন ওরফে মিলু ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে অনিক এবং অর্থদাতা ফিরোজ ওরফে মোহাম্মদ তমালকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশী পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি, এক কেজি বিস্ফোরক ও দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপের কমান্ডার আসাদুজ্জামান ও অর্থদাতা ফিরোজকে আদালতে হাজির করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান। বৃহস্পতিবার মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, নতুন সশস্ত্র সংগঠন বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপের সদস্যরা এমন স্থানে প্রশিক্ষণ নিত যেখানে কেউ তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি আঁচ করতে পারবে না। এ জন্য তারা বেছে নিয়েছে পদ্মার দুর্গম চর ও উত্তরাঞ্চলের জনসমাগম কম এমন স্থান, বিস্ফোরণের শব্দ হলেও কেউ যাতে শুনতে পাবে না। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য অর্থের বিনিময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বরখাস্ত সদস্যদের রাখা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদে এ সব তথ্য বের হয়ে এসেছে বলে দাবি করেন ডিএমপির মুখপাত্র। মনিরুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া যেসব সদস্যের নাম এসেছে তাদের চিহ্নিত করে যাচাই-বাছাই চলছে। সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠনটির অর্থদাতা তমাল এক সরকারী কর্মকর্তার ছেলে। রাজধানীতে তাদের সতেরোটি ফ্ল্যাট-বাড়ি রয়েছে। অস্ত্র বিস্ফোরকসহ সকল টাকা সেই যোগান দিত। ডিবি মুখপাত্র বলেন, গত ৭ জুন ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বনশ্রী এলাকা থেকে ছয় এবং সূত্রাপুর থেকে আধ্যাত্মিক নেতা নুরুল্লাহ কাসেমীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিহাদীদের কাছে বিস্ফোরক বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন ব্যবসায়ীসহ চাবির এক ল্যাব সহকারীকে ১৮ জুন গ্রেফতার করা হয়। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার নতুন সংগঠনটির কমান্ডার আব্দুল্লাহ ও অর্থদাতা তমালকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় বলে জানান ডিএমপি মুখপাত্র। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠন বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপের কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও অর্থদাতা ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। নতুন নামের জঙ্গী সংগঠনের সদস্যরা প্রশিক্ষণ নিয়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদে অংশ নিচ্ছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আটক দুই জঙ্গী।
×