ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নজরদারির আওতায় সারাদেশের দুই শতাধিক পয়েন্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ জুন ২০১৫

নজরদারির আওতায় সারাদেশের দুই শতাধিক পয়েন্ট

রাজন ভট্টাচার্য ॥ আসন্ন ঈদে যানজট ও ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি রোধে সড়ক-মহাসড়কে দুই শতাধিক পয়েন্টে ত্রুটি উল্লেখ করে সেসব স্থানে বিশেষ নজরদারি ও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ, ফেরিঘাটসহ রাস্তায় চাঁদাবাজি রোধ, রাস্তা মেরামত, সড়কে অবৈধ কাঁচাবাজার, বাজার-টার্মিনাল উচ্ছেদ, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন, যত্রতত্র যাত্রী না তোলাসহ বাড়তি ভাড়া আদায় না করার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জরিপ শেষে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাসমূহের সড়কপথে সমস্যা সমাধানে ৩২ ত্রুটি উল্লেখ রয়েছে। আগামী সপ্তাহে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে তা পাঠানো হবে। এদিকে ঈদের সময় মহানগরীতে প্রবেশ-বহির্গমনের জন্য যানবাহনগুলোকে ১০ বিকল্প সড়ক ব্যবহারের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। মহাসড়কে নসিমন-করিমন-ভটভটি-মহেন্দ্রাসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধে সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশের সড়কে দুই শতাধিক ত্রুটি নিরসন করা গেলে সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হবে না। সুপারিশে সড়কের স্থান উল্লেখ করে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তাও উল্লেখ থাকবে। সমস্যা সমাধানে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। দশ বিকল্প সড়ক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ॥ ঈদের সময় ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য মূল সড়কগুলোকে বাদ দিয়ে যানজট কমাতে বিকল্প ১০টি সড়ক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-সুলতানা কামাল সেতু-সিলেট রুট, বাবুবাজার ব্রিজ (বুড়িগঙ্গা সেতু-২)-ইকুরিয়া-পোস্তগোলা ব্রিজ (বুড়িগঙ্গা সেতু-১) -পাগলা-চাষাঢ়া-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড-সাইনবোর্ড-চট্টগ্রাম সড়ক। এছাড়া টঙ্গী স্টেশন রোড-শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু-মীরেরবাজার-উলুখেলা-কাঞ্চন ব্রিজ-ভুলতা-মদনপুর-চট্টগ্রাম সড়ক, বাবুবাজার ব্রিজ (বুড়িগঙ্গা সেতু-২) ইকুরিয়া পোস্তগোলা সেতু (বুড়িগঙ্গা সেতু-১)-পাগলা-চাষাঢ়া-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড-সাইনবোর্ড হয়ে সিলেট সড়ক, টঙ্গী স্টেশন রোড-শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু-মিরেরবাজার-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা-সিলেট রুট, টঙ্গী স্টেশন রোড-শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু-মিরেরবাজার-উলুখোলা-কাঞ্চন ব্রিজ-ভুলতা-সিলেট সড়ক। এছাড়াও অন্যান্য বিকল্প সড়কগুলোর মধ্যে রয়েছে, হাতিরঝিল-রামপুরা-শেখের জায়গা-আমুলিয়া ডেমরা-সুলতানা কামাল-কাচপুর ব্রিজ-সিলেট-চট্টগ্রাম, গাবতলী-মাজার রোড-মীরের দৌড়-আশুলিয়া-ইপিজেড-চন্দ্রা হয়ে উত্তরবঙ্গ, রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু-জিঞ্জিরা-কেরানীগঞ্জ-মাওয়া এবং মিরপুর মাজার ধৌউর-বিরুলিয়া-আশুলিয়া-মহাসড়ক-উত্তরবঙ্গ। এই দশটি সড়ক ব্যবহার করে যাত্রীবাহী যানবাহনকে ঢাকা ছাড়তে এবং ঈদের পর ঢাকায় প্রবেশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঈদের আগে এসব বিকল্প সড়ক ব্যবহারের বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ পরিবহন মালিক সমিতির কাছে পাঠাতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যানজট রোধে এসব বিকল্প সড়কগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মহাসড়কে নসিমন করিমন চলবে না ॥ ঈদে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে দেশের সকল হাইওয়েতে নসিমন, করিমন, মহেন্দ্রা, ভটভটি, ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, যেন কোনভাবেই চলতে না পারে এ ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্ব-স্ব জেলার জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে হাইওয়ে পুলিশ, পুলিশ সুপার ও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, মহাসড়কে যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ এসব অনুমোদনহীন পরিবহন। তাই ঈদকে সামনে রেখে এসব পরিবহন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ৩২ পয়েন্টে বিশেষ সতর্কতার সুপারিশ ॥ ঈদে যানজট রোধে রাজধানীসহ আশপাশের জেলাসমূহের ৩২ পয়েন্টে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। এসব সুপারিশসমূহের মধ্যে রয়েছে, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি-ক্যান্টনমেন্ট রাস্তায় রাইট ট্রার্ন বন্ধ করা, আব্দুল্লাপুর সেতুর দক্ষিণপাড়ে বাজার উচ্ছেদসহ আবদুল্লাহপুরের বামদিকের রাস্তায় নিউমেন হলারসহ অবৈধ গাড়ি চলাচল ও রাখা বন্ধ করতে হবে যা ভাসানী মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। টঙ্গি স্টেশন রোড থেকে চৌরাস্তা বিশ্বরোড পর্যন্ত দুই পাশের রাস্তা থেকে বাজার উচ্ছেদ, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে হিউম্যান হলার উল্কা সিনেমা হলের পাশে নেয়া। এছাড়াও জয়দেবপুর চৌরাস্তার কাঁচাবাজার ও ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকান উচ্ছেদসহ চৌরাস্তার পশ্চিম দিকের মোড় থেকে হিউম্যান হলার সরিয়ে সেবা হাসপাতালের সামনে নিতে হবে। কোনাবাড়ি-কাশিমপুর থেকে গাড়ি আসলে বামদিকে টার্ন করিয়ে পশ্চিম দিকের পাম্পের কাছে ঘুরাতে হবে। মৌচাক-সফিপুর কাঁচাবাজার পরিষ্কার রাখা, চন্দ্রার মোড়ে কোন গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা যাবে না, গাজীপুর চৌরাস্তা, চন্দ্রা, যাত্রাবাড়ী, শিমরাইল, বাবুবাজার ব্রিজের দক্ষিণে নবীনগর, নয়ারহাট, বাইপাইল থেকে যাতে স্থানীয়ভাবে চলাচলরত কোন গাড়ি আন্তঃজেলার যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। আমিনবাজার-হেমায়েতপুর পর্যন্ত দুইপাশে গ্যারেজের গাড়ির কাজ করতে না দেয়া, সাভার-নবীনগর-নয়ারহাট বাজারসহ মানিকগঞ্জ ট্রাফিকমোড় পরিষ্কার রাখা। আরিচা-দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালের নামে বাড়তি টাকা আদায় বন্ধ করতে হবে। হানিফ ফ্লাইওভারের গুলিস্তান পয়েন্টে ফলের দোকান থেকে শুরু করে সকল হকারমুক্ত করা। যাত্রাবাড়ী রাস্তার ওপর থেকে মাছের আড়ত উচ্ছেদ করা, যাত্রাবাড়ী মোড়-চট্টগ্রাম সড়কসহ শিমরাইল ট্রাক স্টেন্ডের রাস্তার পরিষ্কার রাখা। চট্টগ্রাম সড়ক-শিমরাইল সড়কে স্থানীয়ভাবে চলাচল করা গাড়িগুলোকে কোন অবস্থাতেই হাইওয়েতে যাত্রী ওঠানামা করতে দেয়া যাবে না। কাঁচপুর ব্রিজের পূর্বপাশে উচ্ছেদ করা বাজার ফের বসতে দেয়া যাবে না, মদনপুর চৌরাস্তায় স্থানীয় যানবাহন পার্কিং বন্ধ করতে হবে ও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় স্থানীয় গাড়িগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়া বন্ধ করতে হবে। নরসিংদীর পাঁচদোবা বাসস্ট্যান্ড পরিষ্কার করতে হবে। ভুলতা-গাউছিয়া ট্রাফিক জাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মীরেরবাজার সড়ক পরিচ্ছন্ন না রাখলে যানজট বাড়বে। ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের ভালুকা পয়েন্টে প্রায় আট কিলোমিটার সড়ক দ্রুত মেরামত করতে হবে। মাওয়া-কাওরাকান্দি ঘাটে পরিবহন সিরিয়ালের নামে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই। রাজধানীতে চলা ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ ঈদের সময় বন্ধ রাখা, মহাসড়ক থেকে শুরু করে আঞ্চলিক মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ইজিবাইক, মহেন্দ্রা থেকে শুরু করে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, ঢাকার বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনালসহ দেশব্যাপী মালিক শ্রমিকদের নিয়ে ঈদ উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ সুপারের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সভার আয়োজন করা। ঈদে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে রাস্তা-ঘাট-হাট-বাজারসহ বিভিন্ন টার্মিনাল পরিষ্কার করে রাখা, যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী না তোলা, বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া আদায় নিশ্চিত করা, বাইরের জেলা থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলোকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে না দেয়া, কাঁচামাল ছাড়া ঈদুল ফিতরের পূর্বে তিনদিন ও পরের তিনদিন ট্রাক কাভার্ডভেন লং ভেহিক্যাল সড়ক মহাসড়কে চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ৩২ দফা প্রস্তাব সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সারাদেশে দুই শতাধিক পয়েন্টে বিশেষ নজরদারি ॥ ঈদে সড়ক-মহাসড়কে যানজট রোধ, ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে সারাদেশের দুই শতাধিক স্পটে বিশেষ ব্যবস্থা ও নজরদারির সুপারিশ করা হচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এসব সুপারিশ লিখিত আকারে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে হস্তান্তর করার কথা জানিয়েছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। সুপারিশসমূহের মধ্যে রয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিরাজগঞ্জ সড়ক সবচেয়ে বেশি প্রধান্য পেয়েছে। এরমধ্যে যানজটের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মহাসড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল প্রথম সারিতে রয়েছে। ওসমান আলী জনকণ্ঠকে বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সড়ক মহাসড়কে জরিপ চালানো হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে রাজধানীসহ আশপাশের জেলাসমূহে ৩২ দফা সুপারিশ ছাড়াও সারাদেশ মিলিয়ে দুই শতাধিক সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে নজরদারিসহ ত্রুটি সমাধান করলে ঈদে সড়কপথে কোন ভোগান্তি হবে না। মানুষ আনন্দের সাথে ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী মানিকগঞ্জ-আরিচা সড়কের ১৮টি বাঁকের মধ্যে ১১টি সোজা ও বাকিগুলোতে রোড ডিভাইডার করে দেয়ায় এই সড়কে দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। তেমনি শনির আখড়াতেও ত্রুটি নিরসন করায় দুর্ঘটনা কমেছে। মূলত সড়কে বাঁক থাকা মানেই প্রকৌশলগত সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধান হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডি ও সড়ক জনপথ অধিদফতর মিলে মোট সড়কের পরিমাণ এক লাখ কিলোমিটারের বেশি। এর মধ্যে সারাদেশে প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক রয়েছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অধীনে সারাদেশে সড়কের পরিমাণ ২১ হাজার ৫৭১ কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ৬ হাজার ৪৪৫ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ হাজার ১০৫ কিলোমিটার। জেলা সড়ক রয়েছে ১০ হাজার ৬০৬ কিলোমিটার। সারাদেশের জাতীয় আঞ্চলিক ও জেলাওয়ারী ৮৩৩টি মহাসড়ক রয়েছে। পাকা সড়ক আছে ১৮ হাজার ৭৭২ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক ৬৪৩ কিলোমিটার।
×