ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোলে শেডে পানি ঢুকে নষ্ট হচ্ছে আমদানি পণ্য

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২৬ জুন ২০১৫

বেনাপোলে শেডে পানি ঢুকে  নষ্ট হচ্ছে আমদানি পণ্য

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে বৃষ্টির পানি ঢুকে শেডে থাকা লাখ লাখ টাকার আমদানিকৃত মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক যুগ আগে নির্মিত বন্দরের বেশিরভাগ শেডের অবস্থা নাজুক। যে কারণে শেডের মধ্যে সামান্য বৃষ্টি হলে পানি প্রবেশ করে আমদানিকৃত পণ্য ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দরের ৯ নম্বর শেডে পাইপ ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ইউনিলিভারের আমদানি করা পাউডার ও এসিআইয়ের ধান-পাটের বীজসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল পানিতে ভিজে গেছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরে ৩৫টি শেড রয়েছে। এ ছাড়া কেমিক্যাল রাখার জন্য আলাদা ৪টি শেড রয়েছে। এসব শেডের বেশির ভাগই ভঙ্গুর অবস্থায়। সম্প্রতি ৩ দিন বৃষ্টি হওয়ায় বন্দরের ৯ নম্বর শেডে পাইপ ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়ে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলতে পারছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দরের শেডের পেছনে রয়েছে রেলপথ। সামনে আছে যশোর-কলকাতা মহাসড়ক। রেলপথের নিচ থেকে রয়েছে শেডের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার কারণে ড্রেন ভরাট হয়ে পানি উপচে শেডের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ইউনিলিভারের প্রতিনিধি মোকলেসুর রহমান জানান, বৃষ্টির পানিতে আমাদের আমদানি করা পণ্য নষ্ট হয়েছে। আমরা বিষয়টি ইউনিলিভার ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, আমরা বন্দরের পরিচালককে দ্রুত বিষয়টি সমাধানে পদক্ষেপ নিতে বলেছি। তা না হলে বৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে এবং হবে। বন্দরের অধিকাংশ শেড জরাজীর্ণ। অনেক শেডে টিন দিয়ে পানি পড়ে। অনেক শেডের নিচ দিয়ে ঘাম ঝরে আমদানি করা বিভিন্ন মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দরর পরিচালক (ট্রাফিক) নিতাই চন্দ্র সেন জানান, ৯ নম্বর শেডে ড্রেনের পানি উপচে কিছু পণ্য ভিজে গেছে। তবে আমরা দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তেলের ট্যাঙ্কার সাত দিনেও উদ্ধার হয়নি পটিয়ায় সেতু ভেঙ্গে ট্রেন খালে নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ২৫ জুন ॥ সেতু ভেঙে খালে পড়ে যাওয়া তেলবাহী ওয়াগন (বগি) ও ইঞ্জিন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার হারগেজি খাল থেকে সাত দিনেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জোয়ার-ভাটার খালে ডুবে যাওয়া ফার্নেস অয়েল ভর্তি দু’টি ওয়াগন এখনও পানির মধ্যে ডুবে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রেলওয়ের শ্রমিকরা কেরাং দিয়ে তা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে, খালে ডুবে যাওয়া একটি ওয়াগন উদ্ধার করতে গিয়ে বুধবার তা ফেটে যাওয়ায় হারগেজি খালে ফার্নেস অয়েল পুনরায় সয়লাব হয়েছে। সকাল থেকে এলাকার লোকজন খাল থেকে বিভিন্নভাবে তেল সংগ্রহ করে তা ৬০ টাকা মূল্যে বিক্রি করেছে বলে স্থানীয়রা জানান। দুর্ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে বোয়ালখালীর বেঙ্গুরা স্টেশন ও পটিয়া উপজেলার ধলঘাট স্টেশনের মাঝামাঝি সাইরারপুল ভেঙে ফার্নেস অয়েলসহ ৩টি ওয়াগন ও ট্রেনের ইঞ্জিন খালে পড়ে গেলে চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
×