ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে বাজেট আলোচনায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কম বরাদ্দের সমালোচনা

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৫ জুন ২০১৫

সংসদে বাজেট আলোচনায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কম বরাদ্দের সমালোচনা

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বিশাল এ বাজেট বাস্তবায়ন ও বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অবশ্যই দরকার হবে। সন্ত্রাস-দুর্নীতির কাছে কোনভাবেই মাথানত করা যাবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে তারা বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কম বরাদ্দের কঠোর সমালোচনা করেন। বুধবার জাতীয় সংসদে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ সব কথা বলেন। বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ডেপুটি স্পীকার কর্নেল (অব) শওকত আলী, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, এইচ এন আশিকুর রহমান, নুরুল মজিদ হুমায়ুন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, আবু রেজা মোঃ নিজাম উদ্দিন নদভী, ইস্রাফিল আলম, মনিরুল ইসলাম, আ ক ম বাহাউদ্দিন, মোহাম্মদ উল্যাহ, অধ্যাপক ডাঃ এম আমানুল্লাহ, নুুরজাহান বেগম, জাতীয় পার্টির এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, ফখরুল ইমাম, আবদুল মুনিম চৌধুরী, স্বতন্ত্র সংসদ সংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী ও ঊষাতন তালুকদার। প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার ওপর করাপোরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বাজেটে শিক্ষার ওপর ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করা হয়েছে, যা বর্তমান সরকারের উন্নয়নকা-ের বিরোধী। বাজেট পাসের সময় এ করারোপের সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসারও দাবি করে তিনি বলেন, দেশে কর ফাকি দেয়ার প্রবণতা এখনও রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যে কোন ধরনের দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। আমরা কোন দুর্নীতির কাছে মাথা নত করতে পারবো না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়ন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বিদেশী বিনিয়োগ না বাড়ার জন্য বিনিয়োগ বোর্ডকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট না করার দায়ভার বিনিয়োগ বোর্ডের ওপর বর্তায়। এ জন্য বিনিয়োগ বোর্ডকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কারণ এরা বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারছে ন। এদিকে সরকারী বিনিয়োগ না বাড়লে বেসরকারী বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে না বলে জানান তিনি। ক্রিকেটে একের পর এক সাফল্যে অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি বলেন, সব সরকারের আমলেই ক্রিকেট খেলা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ের মতো এতো সাফল্য ক্রিকেটে কখনই হয়নি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ক্রিকেটকে ব্যাপক পৃষ্টপোষকতা ও সহযোগিতা দিয়ে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আসলেই ভাগ্যবতী। আপনি শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একের পর এক বিজয় ছিনিয়ে আনছেন। ক্রিকেট খেলা হলেই প্রধানমন্ত্রী মাঠে চলে যান। ক্রিকেট আর মাঠে প্রধানমন্ত্রী এ কথা এখন তরুণ ছাত্র, যুবকের মুখে মুখে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, যে মুহূর্তে আলোচনা করছি, ঠিক আর কিছুক্ষণ বাদে বিকেল ৩টায় ভারতের সঙ্গে তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ইতোমধ্যে দুই ম্যাচ বিজয় অর্জন করে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে। আশা করি আজ তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ‘বাংলাওয়াশের’ মাধ্যমে বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে।
×