ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তার চুরি ও খোঁড়াখুঁড়ি

রাজশাহীতে আট শ’ টেলিফোন বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৫ জুন ২০১৫

রাজশাহীতে আট শ’ টেলিফোন বিচ্ছিন্ন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ অব্যাহত তার চুরি ও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির মুখে ধুঁকছে রাজশাহীর টেলিফোন। প্রায় এক মাস ধরে রাজশাহী নগরীতেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৩০০ টেলিফোনের। সম্প্রতি ২৫০টির লাইন চালু করা হলেও সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নগরীর উপশহর এলাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে তিন শতাধিক টেলিফোনের। এ প্রেক্ষিতে কেবলের ক্ষতিপূরণ চেয়ে সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড (বিটিসিএল) রাজশাহী অফিস। এদিকে নগর ছাড়াও গত এক সপ্তাহ ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে জেলার গোদাগাড়ী, তানোর ও পবার নওহাটা পৌরসভার পাঁচ শতাধিক টেলিফোন লাইন। সরকারী-বেসরকারী অফিস এমনকি থানার টেলিফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন টেলিফোন ব্যবহারকারীরা। সবমিলিয়ে রাজশাহীতে এখন আট শ’র বেশি লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিটিসিএল রাজশাহী বিভাগীয় প্রকৌশলী (ফোনস) আবদুল মান্নান টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্নের কথা স্বীকার করে বলেন, চোরের উৎপাত আর দফায় দফায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে তারা টেলিফোনের লাইন সচল নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মূল লাইনের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকেও তার চুরি হচ্ছে। গত তিন বছরে এধরনের তিনবার বড় ধরনের তার চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় মামলা হলেও কোন কাজ হয় না। তার চোর সিন্ডিকেট ধরা যায় না। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান ২৪ জুন ॥ তিন দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবান- কেরানীহাট সড়ক প্লাবিত হওয়ার কারণে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, অন্যদিকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জানা গেছে, বুধবার দুপুর একটার দিকে বান্দরবান- কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়া ইউনিয়নের মাহালিয়া নামক স্থানের সড়কপথের উপর পানি উঠে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় সব ধারনের যান চলাচল। এ কারণে উভয় দিকে অর্ধশতাধিক গাড়ি আটকা পড়েছে। অন্যদিকে বান্দরবানের পুলপাড়া সড়কের ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে বান্দরবানের সঙ্গে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উক্ত সড়ক পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। বান্দরবান বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ বলেন, পানিতে প্লাবিত হয়ে সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে টানা বর্ষণে জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীতে পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের কয়েক শত ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। ফলে জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকার লোকজন নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছে। আরও জানা গেছে, নদীর তীরের ৪/৫টি ঘরবাড়ি পানির স্রোতে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। নদী তীরবর্তী ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বাসবাসকারীদের সরে যেতে বান্দরবান পৌরসভা থেকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে প্রচার চালানো হচ্ছে।
×