নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৩ জুন ॥ পতœীতলা উপজেলার আকবরপুর গ্রামের আদিবাসী পল্লীতে হামলা ও বন্দুকের গুলিতে এক আদিবাসী বালককে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা এবং মানববন্ধন করা হয়। এ সময় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি পতœীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রফিকের অপসারন দাবি করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে এক প্রতিবাদ সভা করে।
সভায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পতœীতলার সভাপতি সুধীর তির্কীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ নওগাঁর সমন্বয়কারী জয়নাল আবেদীন মুকুল, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নওগাঁ জেলার উপদেষ্টা মোশারফ হোসেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবীন চন্দ্র মুন্ডা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নওগাঁ জেলা সভাপতি আমিন কুজুর, সাধারন সম্পাদক ভারত পাহান, আদিবাসী যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নরেন পাহান, নওগাঁ জেলা জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মহসীন রেজা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল রাজোয়ার, সুভাষ হেমরম প্রমূখ।
পতœীতলা উপজেলা আদিবাসী পরিষদের সভাপতি সুধীর তির্কি এবং আহত ও ভুক্তভোগী ইমাজউদ্দিন, উকিল ওঁড়াও, সনু ওঁড়াও জানান, গত এক মাস আগেও ঘাতক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আদিবাসী পল্লীতে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে আদিবাসীদের আহত, ঘরবাড়ি ভাংচুর ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পতœীতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ওসি অভিযোগ নেয়নি। এছাড়া এর আগে আরও দু’বার মতিনের নেতৃত্বে সঙ্ঘবদ্ধদল আদিবাসী পল্লীতে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ করে তারা। মামলার শিকার ভূমিহীনরা আরও অভিযোগ করেন, আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হবে এমন তথ্য পুলিশকে দিলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। থানা থেকে মাত্র বিশ মিনিটের রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ পল্লীতে আসে। তারা আরও জানায়, ঘটনার আগের দিন আব্দুল মতিন ওসিকে পুকুরের মাছ, গাছের আম খাইয়ে ম্যানেজ করেছে। ওসির সঙ্গে গোপন চুক্তির মাধ্যমেই এমন হত্যাকা- সে ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় নিহত মিথুন খালকোর বাবা সুনু খালকো বাদী হয়ে ঘাতক মতিনসহ ২১ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।