ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইউরোপে শীঘ্রই পানপাতা ও কাঁকরোল রফতানি

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৪ জুন ২০১৫

ইউরোপে শীঘ্রই পানপাতা ও কাঁকরোল রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শীঘ্রই ইউরোপে পানপাতা ও কাঁকরোল রফতানি শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এ জন্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, পানপাতা ও কাঁকরোল রফতানির বাধা দূর করতে হলে পণ্যটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত ও গুণগতমান উন্নত করতে হবে। শুধু তাই নয়, রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণে কৃষিজাত পণ্যের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শাক-সবজি ও ফলমূল রফতানি হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার ও বেসরকারী খাতের উদ্যোগে এখন পণ্যমান বাড়াতে একযোগে কাজ করা হচ্ছে। এগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফ্রুুটস ভেজিটেবলস এ্যান্ড এ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফভিএপিইএ’র উপদেষ্টা মোঃ মুঞ্জরুল ইসলাম। বক্তরা বলেন, কৃষিজাত পণ্যের মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট খাতের শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাই যথেষ্ট নয়। ভাল ফসল উৎপাদনে মাটি ও এর উপাদানগুলোর গুণাগুণের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যেরও সুরক্ষা হবে। এসএম রেজোয়ান হোসেন বলেন, কৃষি পণ্যের বিপণনে গুণগত মান উন্নয়ন প্রয়োজন। তবে ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। তবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পারলে এ বিষয়টিও যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীঘ্রই পানপাতা ও কাঁকরোল রফতানি শুরু হবে। কৃষিজাত পণ্য রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষতিকারক উপাদান থাকায় ইউরোপের দেশগুলো সাত বছর ধরে এসব কৃষিপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ রেখেছে। কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা রফতানিকারকরা এতে দায়ী নন। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
×