স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। কিন্তু দুঃসংবাদ দলটির তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজের বোলিংয়ের বৈধতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট এমন খবর জানিয়েছে। গল টেস্টে দুই ইনিংস মিলে ২০ ওভার বোলিং করেন হাফিজ। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে দুটি উইকেটও লাভ করেন। কিন্তু শেষদিকে মাঠে থাকা আম্পায়ারের দৃষ্টিতে তার বোলিং এ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে দু’বার কারও বোলিং এ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলে কঠিন শাস্তিই পেতে হবে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় হাফিজের বোলিং এ্যাকশন পুনরায় অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হলে তাকে বোলিং থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। হাফিজকে ২১ দিনের মধ্যে অবশ্যই বোলিং পরীক্ষা করাতে হবে। অবশ্য অফিসিয়াল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইসিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত এই মুহূর্তে তিনি বোলিং করে যেতে পারবেন। এর আগে আবুধাবিতে গত বছরের নবেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে প্রথমবারের মতো হাফিজের বোলিং এ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ডিসেম্বরে অফিসিয়াল পরীক্ষায় বোলিং এ্যাকশন অবৈধ হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইসিসি। এ বছরের এপ্রিলের ২১ তারিখে আইসিসি থেকে বোলিংয়ের ছাড়পত্র পান হাফিজ। বল হাতে ফিরেছেন বাংলাদেশে সফরে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে বোলিং করেছেন এই ডানহাতি স্পিনার। হাফিজ বোলিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়। ব্যর্থ হলে তাকে অন্তত এক বছরের জন্য বোলিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে খেলতে পারবেন কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে। ২০০৩ থেকে এ পর্যন্ত ৪৩ টেস্ট, ১৬১ ওয়ানডে ও ৬২ টি২০ খেলে দলের সাফল্যে অতিগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন পাঞ্জাবে জন্ম নেয়া তুখোড় এই অলরাউন্ডার। নিয়ম অনুযায়ী বোলিংয়ের সময় কোন বোলারের হাতের কনুই ১৫ ডিগ্রীর বেশি বাঁক নিলে সেটি অবৈধ বলে বিবেচিত হয়। একই কারণে দীর্ঘ সময় নিষিদ্ধ ছিলেন অপর পাকিস্তানী তারকা স্পিনার সাঈদ আজমলও।