ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যোগ দিবস পালন নিয়ে মমতা ও কেজরিওয়াল কুশলী, কংগ্রেসের ব্যঙ্গ

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৩ জুন ২০১৫

যোগ দিবস পালন নিয়ে মমতা ও কেজরিওয়াল কুশলী, কংগ্রেসের ব্যঙ্গ

রবিবার যোগ-দিবসের সকালে সে কথা মেনেই রাজপথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যোগাসনে যোগ দেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যজন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি নিজে বা তার মন্ত্রী-সান্ত্রীরা কেউ যোগে যোগ না দিলেও নিয়মরক্ষার তাগিদে সরকারী অনুষ্ঠানগুলো হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। অপরদিকে কংগ্রেস যন্তর-মন্তরে যুব কংগ্রেসকে দিয়ে ললিত মোদি আর সুষমা স্বরাজের মুখোশ পরে ‘ললিতাসন’-এর ব্যঙ্গ প্রতিবাদ করিয়েছে। কিন্তু মোদির ভারতীয়ত্বের মহা-উৎসবে অনুপস্থিত থেকে আসলে বিচ্ছিন্নই হয়ে গেল তারা। একই পথে হাঁটতে গিয়ে ঠিক যা হলো বামদের ক্ষেত্রেও। কৌশলী পা ফেলার অঙ্কে ‘ফেল’ করল দু’পক্ষই। প্রথম বিশ্ব যোগ দিবস। ভারতের উদ্যোগে জাতিসংঘের সম্মতি আদায়ের পর দিল্লীর রাজপথ থেকে নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার সর্বত্র জুড়ে ছিলেন মোদি। গোটা বিশ্বকে ভারতীয়ত্বের ‘যোগ’সূত্রে বেঁধে দিলেন তিনিই। ঘরোয়া রাজনীতির অলিন্দেও সুষমা-বসুন্ধরা বিতর্কে চাপে পড়ে যাওয়া নিজের রাজনৈতিক কর্তৃত্বকে এক ধাক্কাতেই প্রতিষ্ঠিত করে ফেললেন অনেকটা। যোগের মাধ্যমে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দিয়ে কাছে পেতে চাইলেন সংখ্যালঘুদেরও। বিজেপি নেতারা বলছেন, কেজরিওয়াল বুদ্ধিমান। যোগের মতো চিরন্তন ভারতীয়ত্বের প্রশ্নে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে চাননি। তাই মোদি সরকার বা দিল্লীর উপ-রাজ্যপাল নজীব জঙ্গের সঙ্গে তার যতই বিরোধ থাক না কেন, উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে পাশে নিয়ে রাজপথে সকলের সঙ্গে যোগাসনে বসেছেন তিনি। কিন্তু মোদির সঙ্গে যোগের হাত ধরলে যদি ধর্মনিরপেক্ষতা খোওয়া যায়, তাই বামেরা যেমন দূরে থাকল, তেমনই অবস্থা হলো কংগ্রেসের! যুব কংগ্রেসকে দিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপেই আটকে রইল তারা। এই দুইয়ের মধ্যে যিনি মধ্যপন্থা নিয়ে চললেন, তিনি মমতা। যোগ নিয়ে মাতামাতি বা উপেক্ষা করেননি। মোদির ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানে’র বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।
×