ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাবা দিবসের আয়োজন

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২১ জুন ২০১৫

বাবা দিবসের আয়োজন

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ আজ ২১ জুন বিশ্ব বাবা দিবস। সন্তানের প্রয়োজনে বাবা থাকেন সবসময়। শৈশব থেকে বাবার ভালবাসার ছায়ায় বেড়ে ওঠে সব সন্তান। মূলত বাবার স্নেহ ভালবাসা এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করেই সন্তান তার ভবিষ্যতকে বিনির্মাণ করেন। আজ বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে টিভি চ্যানেলগুলো আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠান। এ নিয়েই আজকের এ প্রতিবেদন। আরটিভির বিশেষ নাটক ‘বাবা তোমাকে’ বাবা দিবসে আজ আরটিভিতে প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘বাবা তোমাকে’। দর্শকের গল্পে এবার নির্মিত হয়েছে নাটকটি। বাবা দিবস উপলক্ষে সারাদেশ থেকে গল্প নেয়া হয়। অসংখ্য গল্প বাছাইয়ের পর নাটকের গল্প বিজয়ী হয়েছেন ঝালকাঠির আরিফুল হক মুন্না। নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সুমন আনোয়ার। অভিনয় করেছেন তিশা, রওনক হাসান, লুৎফর রহমান জর্জ। নাটকটি প্রচার হবে বাবা দিবসে আজ রবিবার রাত ৭-৪০ মিনিটে। নাটকে দেখা যাবে, জর্জ সাহেব বিপতœীক। সন্তান প্রসবের সময় তার স্ত্রী মারা যান। কিন্তু সন্তানটি বেঁচে আছেন। মেয়ে মুবিনরূপী তিশাকে ঘিরেই জর্জের জগৎ। মুবিন প্রতিবন্ধী। চোখে দেখতে পায় না। তাই বাবার মাধ্যমেই মুবিনকে জানতে হয়। আজকের আকাশ কেমনÑ রোদ নাকি মেঘ? নিজে দেখতে কেমন? বাবা সব প্রশ্নের উত্তর দেন। আবার বাবার কষ্টগুলোও বোঝে মুবিন। দেখতে না পেলেও টের পান। হঠাৎ একদিন পরিচয় হয় একটি ছেলের সঙ্গে। মুবিনের বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন জর্জ সাহেব। একমাত্র সন্তানকে ছাড়া কিভাবে থাকবেন তিনি। সন্তানও ভাবনায় পড়ে বাবাকে নিয়ে। দু’জনেই দোটানায় পড়ে যায়। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প। এটিএন বাংলায় বিশেষ নাটক ‘প্রিয় বাবা’ বাবা দিবস উপলক্ষে এটিএন বাংলায় আজ রবিবার রাত ৮-৪৫ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘প্রিয় বাবা’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়, তানিয়া আহমেদ, কল্যাণ কোরাইয়া, রুনা খান, শিশু শিল্পী জারা ও প্রমিহা। একটি মেয়ে ও তার বাবার জীবন যুদ্ধের গল্প প্রিয় বাবা নাটকের মূল উপজীব্য। বাবার বয়স ৩৫, মেয়ের বয়স ৬, মা নেই সংসারে। অন্য কেউও নেই বাবা- মেয়ের সংসারে। বাবার চাকরি নেই, টাকাও নেই। কিন্তু বাবা মেয়েকে কিছুই বুঝতে দিতে চায় না। মেয়েকে সে রাজকন্যা বলে ডাকে। মেয়ের সব আবদার পূরণ করার জন্য বাবা যে কষ্ট করে টাকার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু মেয়ের সামনে বাবা রাজার মতো থাকেন। কখনও সে সুপারম্যান, কখনও সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জোকার, আবার কখনও চলচ্চিত্রের নায়ক। বাবাকে ঘিরে মেয়ের আনন্দের সীমা নেই। বাবার মুখে লেগে থাকে চিরস্থায়ী হাসি। মেয়ের কোন কিছুতেই তার না নেই। কিন্তু এক সময় মেয়েটি বুঝতে পারে তার বাবার হাসির পেছনে কতটা কান্না, কতটা কষ্ট লুকিয়ে রয়েছে। সে বুঝতে পারে তার আনন্দের জন্য বাবা কতবার তাকে মিথ্যে বলেছে, সে বুঝে তার বাবার জীবন যুদ্ধ। তারপর বাবার প্রতি মেয়ের ভালবাসা শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায়। এগিয়ে যায় নাটকে গল্প। মাছরাঙা ‘টি উইথ টুটলি’ মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রতি রবিবার রাত ৯-১০ মিনিটে প্রচার হচ্ছে তারকার সঙ্গে আলাপচারিতার অনুষ্ঠান ‘টি উইথ টুটলি’। আজ বাবা দিবসে রয়েছে এর ৫০তম পর্ব। তাই এতে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং তার মেয়ে সঙ্গীতশিল্পী দিঠি আনোয়ার। অনুষ্ঠানে নিজেদের ব্যক্তিজীবন, পেশাজীবন, লাইফস্টাইল, পথচলার নানা অভিজ্ঞতা, মজার ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তারা। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় রয়েছেন টুটলি রহমান। বাসুর সুর ও সঙ্গীতে বাবা দিবসের এ্যালবাম ‘বাবা তোমায় মনে পড়ে’ বর্তমান সময়ে সঙ্গীত পরিচালনা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক বাসু দেব ঘোষ। চলচ্চিত্রের চেয়ে তার অডিও নিয়েও ব্যস্ত বেশি। তারই ধারাবাহিকতায় বাসু দেবের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় আজ ২১ জুন বাবা দিবসকে সামনে রেখে এ্যালবাম করেছেন ‘বাবা তোমায় মনে পড়ে’। সিনিয়র শিল্পীর পাশাপাশি এ প্রজন্মের শিল্পীরা এ এ্যালবামে গান গেয়েছেন। এ এ্যালবামে গান গেয়েছেন নকীব খান, ফাহমিদা নবী, রফিকুল আলম, বাদশা বুলবুল, সাজেদ ফাতেমী, নন্দিতা, জন সুমিত, ফারাবি, জান্নাত, আশিষ বৈদ্য, তাপস দত্ত ও বাসু। গান লিখেছেন বাসু, গোলাম মোর্শেদ, সজীব শাহরিয়ার, ওবায়দুল হক আকাশ, নাজমুল সাকিব, আবু রায়হান, ইসমাইল মানিক, আফরোজা নিজামী. ড. অমাল বর্মণ, এনামুল হক সুজন ও জিকে দত্ত। এ্যালবামটি রিলিজ হচ্ছে লেজার ভিশনের ব্যানারে। এছাড়া এ বছরের শেষের দিকে আসছে বাসুর সুর ও সঙ্গীতে ‘সূর্যের আলোতে শাণিত প্রাণের গান’। এ এ্যালবাম নিয়ে তিনি বলেন এটা আমার স্বপ্নের একটা কাজ। আমি প্রায় চারশ’ আশিটি গান করে ফেলেছি। এখানে মোট বত্রিশটি সিডি হবে। সম্ভবত এ্যালবামটির দাম হবে পনেরশ’ টাকা। এ এ্যালবামটি কোন ব্যানার থেকে বা কিভাবে রিলিজ দেবো এটা নিয়ে একটু ভাবছি। এছাড়া তিনি ব্যস্ত আছেন প্রিয়াংকা গোপ, সুমনা বর্ধন ও ইউসুফের সলো এ্যালবামের কাজ নিয়ে। গান নিয়ে বাসু দেব তার স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে বলেন, গান আমাকে জীবনে সব কিছু দিয়েছে। আবার গান নিয়ে আমার জীবনে অতৃপ্তিও আছে। কি জানি এখনও করা হয়ে ওঠেনি। তবে সারা জীবন আমি কাব্যের পেছনে ছুটেছি। যেখানে কাব্য আছে সেখানে আমি আছি। ভাল কথা ও সুরের কিছু গান করতে চাই। বাংলাদেশের গান যেন দেশের বাইরে ও অনেক জনপ্রিয় হয় আমি সে লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। সারা জীবন বাংলা গানের সঙ্গে থাকতে চাই।
×