ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোটরসাইকেল ডিলারদের দাবি

‘শিল্পবিরোধী’ নীতি বাতিল

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২০ জুন ২০১৫

‘শিল্পবিরোধী’ নীতি বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নেয়া দুটি নীতি (সম্পূরক শুল্ক ১৫% বৃদ্ধি ও রংবিহীন যন্ত্রাংশ আমদানি) মোটরসাইকেল শিল্পে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়াসহ এ শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত যুবকরা বেকার হয়ে পড়বে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর মোটরসাইকেল ডিলারা এ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই দুটি নীতি বাতিলের দাবিও জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল ডিলার এ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, মোটরসাইকেল বিক্রয়কারী ডিলাররা বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড হোন্ডা, ইয়ামাহা, বাজাজ, হিরো, টিভিএস, সুজুকির মোটরসাইকেল বর্তমানে বাজারের ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে আসছে। দেশের পরিবহন খাতেও ভূমিকা রাখছে। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট নীতিতে দুটি পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হলো, সিকেডি অবস্থায় সব মোটরসাইকেল যন্ত্রাংশ রংবিহীন অবস্থায় আমদানি ও পূর্বের সম্পূরক শুল্ক ৩০% থেকে বাড়িয়ে ৪৫% করা। যা বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব আদায় কমবে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রতিটি মোটরসাইকেলের মূল্য ১৫ হাজার থেকে থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাবে। এতে ডিলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোটরসাইকেল ডিলার এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আরিফ বলেন, সংযোজন শিল্পের জন্য আলাদা আলাদা পেইন্টসপ স্থাপন করা মোটরসাইকেল শিল্পের জন্য সহায়ক হবে না। এমতাবস্থায় রংবিহীন অবস্থায় যন্ত্রাংশ আমদানি ও পূর্বের সম্পূরক শুল্ক ৩০% থেকে বাড়িয়ে ৪৫% করার নীতি মোটরসাইকেল শিল্পে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই দুটি নীতি বাতিলের জোর দাবি জানানো হয়।
×