ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সীমানা নিয়ে মতবিরোধ

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গা মানুষ নিজ দেশে পরবাসী

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২০ জুন ২০১৫

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গা  মানুষ নিজ দেশে  পরবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙ্গনে কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সীমানা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ফলে নদী ভাঙ্গা কয়েক হাজার মানুষ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় পরবাসীর মতো বসবাস করছেন। তারা কোন অঞ্চল থেকেই সরকারী সুবিধা পাচ্ছেন না। এমনকি ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন। জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর জোয়ানের চর গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ২ বছর আগে। বর্তমানে ওই ইউনিয়নের নির্ধারিত সীমানা চিহ্নিত না থাকার কারণে কয়েকশ’ মানুষ কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলা সদর ও মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে বসবাস করছেন। পাশাপাশি কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা হতে কয়েকশ’ মানুষ বসবাস করছেন দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা ও চরআমখাওয়া ইউনিয়নে। সেখানে কিছু মানুষ ভোটাধিকার পেলেও বাকিরা উদ্বাস্তুই রয়ে গেছেন। ডাংধরা গ্রামের মজিবুর রহমান, আবুল মিয়া, সোনাভান বেওয়াসহ অনেকেই জানান, আমরা নিজ দেশে পরবাসীর মতো বসবাস করছি। কুড়িগ্রাম বা জামালপুর কোন এলাকাতেই আমরা ভোট দিতে পারি না। এমনকি নদী ভাঙ্গা মানুষ হিসেবে ভিজিডি, ভিজিএফসহ কোন সরকারী সুবিধা পাই না। তারা আগামী ইউপি ও জাতীয় নির্বাচনের আগেই তাদের ভোটাধিকার দিয়ে দুস্থভাতা ও সরকারী সুবিধা দেয়ার জোর অনুরোধ করেন। রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলম ও দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ম-ল জানান, নদীভাঙ্গা এই মানুষগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে এসে অস্থায়ী হিসেবে বসবাস করছে। দুই জেলার মানুষ হওয়ার কারণে তাদের আদম শুমারি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় থাকার কারণে স্বচ্ছ আদম শুমারি করাও সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি তাদের কাছে সরকারী ট্যাক্সও আদায় করা যাচ্ছে না।
×