ললিত মোদি বিতর্কে নরেন্দ্র্র্র্র্র্র মোদি সরকারের অস্তিত্বের সঙ্কট নেই ঠিকই, কিন্তু ভাবমূর্তির সঙ্কট যে তৈরি হয়ে গেল, তা কবুল করছেন বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের নেতারা। আর সেই সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মাথা চাড়া দেয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।
এক শীর্ষ আরএসএস নেতার কথায়, ‘‘জল যখন পাথরের উপরে পড়ে, তখন প্রথম প্রথম মনে হয় পাথরের আর কী ক্ষতি হবে! কিন্তু লাগাতার জল পড়তে থাকলে অজান্তেই ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। আর একদিন দেখা যায়, পাথর ফুটো হয়ে গিয়েছে।’’ ফলে মোদির সরকার মানবিকতার যুক্তি দিয়ে সুষমা স্বরাজের পাশে দাঁড়ালেও ললিত মোদিকে ব্রিটেনের ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পেতে সাহায্য করার ঘটনা যে তার গলার কাঁটা হয়ে গেল, সেটা মানছেন দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই। কারণ, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এটাই দুর্নীতির প্রথম অভিযোগ। এবং সেটা এমন একটা সময় এল, যখন ‘অচ্ছে দিন’-এর সেøাগান তুলে সরকার বর্ষপূর্তি পালন করছে। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে গোটা দেশে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ উস্কে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ সব উদ্যোগে খানিকটা হলেও জল ঢেলে দিলেন ললিত মোদি।
রবিশঙ্কর প্রসাদ, অরুণ জেটলির পরে সরকারের হয়ে আসরে নেমে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া বৃহস্পতিবার কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন। তার অভিযোগ, ইউপিএ সরকারই ললিত মোদির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার কথায়, ‘‘কংগ্রেস কেন ললিতকে দেশে ফেরায়নি? কে ওদের বারণ করেছিল!’’ -আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: