ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা শুরু পয়লা সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৯ জুন ২০১৫

৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা শুরু পয়লা সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। নতুন নিয়মে অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ২০ হাজার ৩৯১ প্রার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। বৃহস্পতিবার লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কমিশন জানিয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হল এবং বিস্তারিত সময়সূচী পরবর্তীতে জানানো হবে। এর আগে নতুন নিয়মে অনুষ্ঠিত ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল গত আট এপ্রিল প্রকাশ করে পিএসসি। ৬ মার্চ নতুন নীতিমালার আলোকে অনুষ্ঠিত হয় ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল রেকর্ডসংখ্যক দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ প্রার্থী। বিসিএসের নতুন নীতিমালা অনুসারে এবারই প্রথম ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে একশত নম্বরের জন্য এক ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। ৩৪তম বিসিএসে দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন আবেদন করেছিলেন। সেই হিসাবে আগের বিসিএস থেকে ৩৫তম বিসিএসে ২২ হাজার ৫৩২ জন বেশি প্রার্থী আবেদন করেন। ঢাকা কেন্দ্রের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ২৪৪ জন, রাজশাহী কেন্দ্রে ২১ হাজার ৮৭৩ জন এবং চট্টগ্রামে ২০ হাজার ৪৬৯ জন, খুলনা কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৭৮ জন, বরিশালে পাঁচ হাজার ৭২৯ জন, সিলেটে নয় হাজার ৮৫৮ জন এবং রংপুর কেন্দ্রের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। এক হাজার ৮০৩টি শূন্যপদে কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৮০৩ পদের মধ্যে প্রশাসনে ৩০০ জন, পুলিশে ৫০ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে মোট ৪৫৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৮২৯ জন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে সরকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ৩৫ জন এবং প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার প্রথমবারের মতো সব ধরনের ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আগে বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ পেতেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া মোবাইল ফোন, যে কোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ যন্ত্র, বইপুস্তক ও ব্যাগসহ হলে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। আগেই জানিয়ে দেয়া হয়, বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালার বিধি ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কমিশনের সকল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। দাখিলের ষষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্যবই ডিজিটালাইজড হচ্ছে ॥ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতেই মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যবই ইন্টারএ্যাকটিভ ডিজিটাল পাঠ্যবইয়ে রূপান্তর শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দাখিল স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণীর চারটি বই এবং অন্য ১২টি সাধারণ শিক্ষার বই নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সপ্তম, অষ্টম ও নবম ও দশম শ্রেণীর বইও ডিজিটাইজড করা হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা আর কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে থাকবে না। বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) দাখিল স্তরের ইসলামী ও আরবী বিষয়সমূহের পাঠ্যপুস্তক ইন্টারএ্যাক্টিভ ডিজিটাল মাদরাসা বুকস-এ রূপান্তর বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছায়েফ উল্যার সভাপতিত্বে শিক্ষাসচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ, রোকসানা মালেক, নায়েমের মহাপরিচালক হামিদুল হক, জমিয়াতুল মোদারেছীনের মহাসচিব মাওলানা সাব্বির আহমেদ মোমতাজী বক্তব্য রাখেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ জন্য শিক্ষার প্রতিটি স্তরে প্রযুক্তির প্রয়োগ করে দক্ষতার সঙ্গে এগোতে হবে। এখন বড় চ্যালেঞ্জ গুণগতমানের শিক্ষা। এ জন্য সরকার বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর কুরআন মজিদ, আকাইদ ও ফিকহ, আরবী প্রথমপত্র এবং আরবী দ্বিতীয়পত্র বিষয় চারটির পাঠ্যবই ডিজিটাইজড করবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। এছাড়া এনসিটিবি বাকি সাধারণ ১২টি বইয়ের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করবে। বিষয়বস্তুর ডিজিটাল ভার্সন যা অফলাইন বা অনলাইনের সুবিধা নিয়ে কম্পিউটার, ট্যাব, এমনকি মোবাইল ফোনেও পড়া যাবে। এ ধরনের পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনাপূর্বক ছবি, চিত্র, চার্ট, ডায়াগ্রাম, অডিও-ভিডিও হাইপার লিংক আকারে সংযোজিত হবে। ইন্টারএ্যাক্টিভ ডিজিটাল বইয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠে সক্রিয় রাখতে এবং মুখস্ত বিদ্যা পরিহার করে সমস্যার সঠিক সমাধান খুঁজে বের করার পর্যাপ্ত এক্টিভিটি সমন্বয় করা হয়। এ ধরনের ডিজিটাল বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে ভীতির কারণ হতে পারে কিংবা কোন ধর্মের লোকজনের প্রতি বিরূপ মনোভাব জন্ম নিতে পারে এমন প্রসঙ্গ পরিহার করা হবে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর ওপর আরও বেশি জানতে চাইলে এখানে তা জানা ও দেখার সুযোগ থাকবে।
×