ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী চাকুরেদের জন্য মিরপুরে ৬০৮টি নতুন ফ্ল্যাট হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৮ জুন ২০১৫

সরকারী চাকুরেদের জন্য মিরপুরে ৬০৮টি নতুন ফ্ল্যাট হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরীর মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আটটি ২০তলা ভবনে ৬০৮ নতুন ফ্ল্যাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে বসবাসকারী সরকারী চাকরিজীবীদের আবাসন সমস্যা নিরসনে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আবাসিক সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে উন্নত সেবা প্রাপ্তি। উপসচিব ও যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হবে। ৪ একর জমিতে এসব ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে এক হাজার থেকে ১২শ’ ৫০ বর্গফুট। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৫ কোটি টাকা। এর আওতায় ৫টি ২০তলা ভবনে ৩৮০টি এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। অন্যদিকে, তিনটি ২০তলা ভবনে ১২শ’ ৫০ বর্গফুটের ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। জুলাই ২০১৫ সাল থেকে জুন ২০১৯ মেয়াদে ফ্ল্যাটগুলো নির্মাণ করবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদফতর। সরকারী চাকরিজীবীদের প্রকট আবাসিক সমস্যা লাঘবের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা ও জমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধিই মূল লক্ষ্য বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, প্রকল্প এলাকায় ৩ হাজার ৩৫০ দশমিক ৬০ বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ৪৭৮ রানিং মিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। ৮ হাজার ৩৩৫ মিটার ভূমি উন্নয়ন কাজ করা হবে। ৩৮২ রানিং মিটার ড্রেনসহ ৩০৯ বর্গমিটার কমিউনিটি স্পেস থাকবে। আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের জন্য। পানি সরবরাহ, বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থাও থাকবে। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা যেন অফিস থেকে ফ্ল্যাটে নিরাপদে ফিরতে পারেন, সেই লক্ষ্যে পাঁচটি আধুনিক পরিবহন থাকবে। ১২শ’ ৫০ বর্গফুটের ২২৮টি ফ্ল্যাট দেয়া হবে গ্রেড-৫ ক্যাটাগরির সরকারী কর্মকর্তাদের। অন্যদিকে গ্রেড-৬ ও গ্রেড-৭ ক্যাটাগরির কর্মচারীরা পাবেন ৩৮০টি এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট। বর্তমানে সরকারী উর্ধতন কর্মকর্তাদের আবাসন সঙ্কট অত্যন্ত প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক উর্ধতন কর্মকর্তা সরকারী বাসা বরাদ্দ পাওয়ার কথা। প্রয়োজনের তুলনায় সরকারী বাসার সংখ্যা অত্যন্ত কম হওয়ায় ও চাহিদামতো বাসা বরাদ্দ না পাওয়ায় অনেক কর্মকর্তা ভাড়া করা বাসায় থাকছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কোনক্রমেই চাহিদা অনুযায়ী আবাসন সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের অধিকাংশ সময় বেশি ভাড়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন নিম্নমানের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে হচ্ছে। এতে সরকারী কর্মকর্তাদের অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা তাদের কর্মদক্ষতাকে নষ্ট করছে। নানা কারণে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পাইকপাড়া সরকারী কলোনির মধ্যে চার একর খালি জমি রয়েছে। যেখানে অধিক সংখ্যক আবাসিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে সরকারী কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা কিছুটা সমাধান করা সম্ভব। সে লক্ষ্যেই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হচ্ছে।
×