ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমসের ভাষ্য

বশিরকে ধরতে না পারায় স্পষ্ট হলো আইসিসির সীমাবদ্ধতা

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৭ জুন ২০১৫

বশিরকে ধরতে না পারায় স্পষ্ট হলো আইসিসির সীমাবদ্ধতা

দারফুর লড়াইয়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান আল বশিরকে গ্রেফতার করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আহ্বান সত্ত্বেও তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগ সুস্পষ্টভাবে আইসিসির ব্যাপক সীমাবদ্ধতাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। বশির সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সুদানে পৌঁছেছেন। আইসিসির আহ্বানের পর প্রিটোরিয়ার হাইকোর্টের বিচারক হ্যান্স ফেব্রিয়িাস রবিবার ওমরের দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমসের এক ভাষ্যে এ কথা বলা হয়। মানবতার বিরুদ্ধে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনকারী এবং গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পাকড়াও করার দুঃসাহসিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করা হয়। তবে এ পর্যন্ত যা দেখা গেছে তাতে মনে হয়, আন্তর্জাতিক আইনের হাত শুধু সেই সব ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে যাদের রক্ষার জন্য স্বল্পসংখ্যক প্রভাবশালী সুহৃদ ছিলেন। এই আদালত এমনকি ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধানকেও অভিযুক্ত করতে পরেন যেমন বশিরের ক্ষেত্রে করেছে। তবে আইসিসি তাদের হাতকড়া পরাতে এবং কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে না। এর বদলে আদালত বিশ্বজুড়ে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে তার শেরিফ (আইন প্রয়োগকারী প্রতিনিধি) হিসাবে ক্ষমতা দিতে পারে। গত ৬ বছরে তাদের অনেকেই বশিরকে আদালতের গ্রেফতারি পরওয়ানা অমান্য করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই আন্তর্জাতিক আদালতের চীফ প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির একজন বলিষ্ঠ সমর্থক এবং একজন প্রধান প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। নরওয়ে থেকে তিনি টেলিফোনে বলেন, এই ব্যতিক্রম কি করে ঘটল আমি তা জানি না।‘ আইসিসি প্রসিকিউটর অফিসের সাবেক এ্যাটর্নি এবং বর্তমানে হার্ভার্ডের আইনের অধ্যাপক এ্যালেক্স হুইটিং বলেন, ‘নিজে থেকে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারে আদালতের অক্ষমতার বিষয়টি গণ্য করলে আইসিসি তখনই প্রাসঙ্গিক হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে যতটা সুযোগ দেবে।’ দক্ষিণ আফ্রিকা হলো সাম্প্রতিকতম দেশ যে দেশ বশিরকে দেশটি সফর ও গ্রেফতার ছাড়া দেশত্যাগের সুযোগ দিয়েছে।
×