ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৬ জুন ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে/আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে/এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি/পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি/নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে... কবিগুরুর এই গানে সেই আবহমান বাংলার বর্ষার বস্তুনিষ্ঠ রূপ প্রতিফলিত। আর এই গানটি শুনলে ভাবের বৃষ্টিতেও ভিজতে থাকি আমরা। আষাঢ় আসার আগে রাজধানী ঢাকার আকাশ কবিগুরু কথিত সেই আকাশ ছেয়ে বর্ষা আসার বিষয়টিকেই মনে পড়িয়ে দিল। আকাশ ছেয়ে ঘন অন্ধকার নেমে এসেছে গত সপ্তাহে একাধিক প্রভাতে। না, বর্ষাবন্দনা আমাদের অভিপ্রায় নয়। বর্ষার সৌন্দর্য এই ইটপাথর সিমেন্টের শহরে কিভাবে অবলোকন বা উপভোগ করা সম্ভব! সেটা করতে হলে যেতে হবে গ্রামে। যদিও গ্রাম আর আগের মতো নেই, তবু যেটুকু আছে বর্ষা সেখানে অনেক নিবিড় ও মনকাড়া। ঢাকা শহরে মাত্র দুই ঘণ্টা একনাগাড়ে বৃষ্টি হলে বহু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়া নতুন কিছু নয়। জলাবদ্ধতার অর্থ হচ্ছে চলাচলে মন্থরগতি চলে আসা। প্রধান প্রধান সড়ক আগাম বর্ষার বৃষ্টিতে তলিয়ে না গেলেও দু’পাশে অনেকটা পানি জমে যায়, ফলে চলাচলের জন্য সড়কও সংকুচিত হয়ে আসে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই ঢাকায় যানজট লেগে থাকে। তার ওপর জলজট হলে সেই যানজট কতখানি অসহনীয় হয়ে ওঠে তা ঢাকাবাসী মাত্রই জানেন। সংবাদপত্রের প্রথম ও শেষ পাতায় দু-তিনদিন সড়কের খানাখন্দে পড়ে রিক্সা উল্টে বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে নাস্তানাবুদ হওয়া পথচারীদের ছবি দেখে কষ্টের পাশাপাশি ক্ষোভের উদ্রেক হয়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছিল মহা ভোগান্তিতে। এই অবস্থার অবসান হবে কবে? এক দুই দিনের বৃষ্টি আমাদের ইঙ্গিত দিয়েছে আগামী দিনগুলোতে কী হবে ঢাকার পানিনিষ্কাশন ও যাতায়াতের অবস্থা। ক’বছর আগে আমার এক নিকটাত্মীয় বৃষ্টির পানি জমে থাকা রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। রাস্তায় পানি জমে থাকায় বোঝার উপায় নেই কোথাও কোন গর্ত আছে কিনা। উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উল্টোদিকে রাস্তায় ছিল এক মারণ ফাঁদ, যেটি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (ডিসিসি) কীর্তি। গোটা উত্তরা জুড়ে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ির পর কর্তৃপক্ষ এরকম অনেক গর্তই রেখে দিয়েছিল তাদের মহাযজ্ঞের স্মারকস্বরূপ। বৃষ্টির দিনে তিন ফুট চওড়া ছয় ফুট লম্বা এবং তিন হাত গভীর এই মারণ ফাঁদটির অস্তিত্ব চলাচলকারীদের ঘুণাক্ষরে টের পাওয়ার কথা নয়। অনেক গতিশীল গাড়িই বিকল হয়েছে এর বাহাদুরিতে। এক রিক্সার সামনের চাকা পড়ে গেল তিন ফুট চওড়া ছয় ফুট লম্বা এবং তিন হাত গভীর ওই গর্তে। গর্ত না বলে পরিখা বলাই সঙ্গত। আরোহিনী হুমড়ি খেয়ে পড়লেন সেখানে। মুহূর্তের ভেতর তাঁর বাম হাত ভেঙে গেল, কনুইয়ের হাড় বিশ্রিভাবে স্থানচ্যুত হলো। কাদাপানিতে বেচারি হলেন মাখামাখি। ওই মারণ ফাঁদের পাশেই ছিল চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও মাংসের দোকান। ওই দুর্ঘটনার পর তাদের বোধোদয় হয়। মাটি ও ইট দিয়ে ভরাট করা হয় গর্তটি, একটা বাঁশের মাথায় লাল কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া হয় যাতে পথচারীরা আগেভাগে সতর্ক হতে পারেন। এই কাজটুকু সময়মতো করা হলে আর রিক্সারোহিনীর হাত ভাঙতো না। একথা লেখার উদ্দেশ্য একটাই- নাগরিকদের একটু সতর্কতা ও সক্রিয়তা যাতে আসে এই বর্ষায়। বাধ্য হয়েই ভাবতে হয়- ঢাকাকে বলছি বটে রাজধানী, কিন্তু একে কি রাজধানী বলে? ঢাকা দেশের প্রধান শহর, প্রধান ব্যবসাকেন্দ্র, দেড় কোটি মানুষের আবাস, কূটনীতিকদের বিচরণক্ষেত্র, সারাদেশের যোগাযোগের প্রাণকেন্দ্র। এ রকম একটি শহরে অসহনীয় নাগরিক ভোগান্তি থাকা অত্যন্ত অসমীচীন। ঢাকাকে আধুনিক গতিশীল মসৃণ জীবনের নগর হিসেবে গড়ে তোলার জোরদার প্রচেষ্টা গত দুই দশকে কি আমরা দেখেছি? অথচ এ সময়ে ঢাকা উপচে পড়ে মানুষে, ভবনে, বিচিত্র প্রতিষ্ঠানে। ঢাকার দুই নবনির্বাচিত মেয়রের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বর্ষা এসে পড়েছে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে উদ্যোগ নিন। আগামী বর্ষায় ঢাকার খানাখন্দে পড়ে কেউ আহত হবে না, এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। হরদম উচ্চকণ্ঠ নিজের বাসায় কোন ব্যক্তির আচার আচরণে ত্রুটি থাকলে তা শুধু পরিবারের মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু পাবলিক প্লেসে, যেমন কোন সামাজিক অনুষ্ঠানের জমায়েতে কিংবা বাসের ভেতর অবাঞ্ছিত আচরণ করা হলে সেটা অন্য দশজনের বিরক্তির কারণ ঘটায়। এক সময় দেশে মোবাইল ফোনের চল ছিল না। হাটেমাঠেবাটে আর পাবলিক বাসে এত বাচালতারও সুযোগ ছিল না। এখন ঢাকা মহানগরীর পথে যারা বের হন তাদের প্রায় প্রত্যেকের কাছেই একটি করে মোবাইল থাকে বলেই অনুমান করি। বাসের ভেতর মোবাইল ব্যবহার নিয়ে বাসযাত্রীদের সচেতন করার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। বাসের ভেতর নানা উপদেশবাণী লেখা থাকত আগে। এখন কমই থাকে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাসের ভেতর স্টিকার লাগানোর সুপারিশ জানাতে হবে। তাতে বড় বড় করে দুটো বাক্য লেখা আবশ্যক : বাসের ভেতর মোবাইল ফোন সাইলেন্ট রাখুন। শুধুমাত্র জরুরী আলাপ সারুন নিচু গলায় অতি সংক্ষেপে। দেখে শুনে যথেষ্ট শিক্ষিতই মনে হয় এমন লোককেও দেখেছি বাসের ভেতর হাই ভলিউমে ফোন চালু রাখেন। উচ্চস্বরে তার ফোন বেজে চললেও তিনি ধরেন না, পাশের জন নোটিস করলে তখন ধরেন। আরও এক শ্রেণীর বাসযাত্রী আছেন যারা মোবাইলে একান্ত ব্যক্তিগত আলাপ বা ব্যবসায়িক আলাপ জোশ ও জোরের সঙ্গে চালিয়ে যান। এমনকি ঝগড়াঝাটিও করে থাকেন। তাদের কণ্ঠস্বরও এত চড়া যে বাসের প্রত্যেক যাত্রীর কানের পোকা খসিয়ে দিতে সক্ষম। এরা কবে প্রকৃত শহরবাসী হয়ে উঠবেন? একসঙ্গে ১০১ ঢাকা শহরে মাঝেমধ্যে অসম্ভব সব ঘটনা ঘটে। সে সবের অধিকাংশই যে নেতিবাচক সেকথা বলাই বাহুল্য। গল্পকে হার মানিয়ে দেয়ার মতো সব ঘটনা। গল্পকার যা ভাবতে পারেন না, যতদূর কল্পনা করে উঠতে পারেন না, একজন অপরাধপ্রবণ মানুষ ধ্বংসাত্মক সৃষ্টিশীলতায় বহুদূর চলে যান। পোশাকে আশাকে এবং দেহসজ্জায় যে লোকটিকে দেখলেই মনে হবে শ্রদ্ধেয় মুরুব্বি, কিছুটা মিশলে বা তার কা-কারখানা অনুসরণ করলে পরে বুঝতে বিলম্ব হবে না একই লোক কী পরিমাণ অসৎ হতে পারে। সেজন্যেই বলছি ঢাকা শহরে মাঝেমধ্যে অসম্ভব সব ঘটনা ঘটে। তবে ইতিবাচক অর্থে সৃষ্টিশীল বিচারে অসম্ভব ঘটনাও ঘটে বটে। কথা হচ্ছে ‘অসম্ভব’ হলে তা সম্ভবপর হলো কিভাবে? ঠিক তাই। এটা অভিব্যক্তি প্রকাশের একটি ভঙ্গি মাত্র। আসল কথায় আসি। গত সপ্তাহে এই ঢাকার একজন গীতিকারের ১০১টা গান রিলিজ হয়েছে। সবগুলো গানের সুর তারই দেয়া। অবশ্য তার সঙ্গে পুরো একটা দল কাজ করেছে এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য। আর গানগুলো গেয়েছেন ৪২ জন শিল্পী। যার কথা বলছি পেশাগতভাবে তিনি একজন স্থপতি। তাকে দেখছি সেই তার বুয়েটে পড়ার সময় থেকে। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি আজব সব ছবি তুলে আমাদের চমকে দেন। সেসব আবার ছাপিয়ে অভিনব বাক্যে তার ব্যাখ্যা লিখে পুস্তিকাও প্রকাশ করে ফেলেন। একের পর এক চমক দেখানোতেই যেন তার আনন্দ। রাজধানীতে তখন আর্ট গ্যালারির আকাল। সে সময় সেন্ট্রাল রোডে ‘যোজন’ নামে একটা আর্ট গ্যালারিও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। মুর্তজা বশীরের আত্মপ্রতিকৃতির দারুণ একটা প্রদর্শনী হয়েছিল সেখানে। এতক্ষণ নাম বলিনি এই বহুমুখী প্রতিভাবান ব্যক্তিটির। তিনি হলেন এনামুল করীম নির্ঝর। কবিতা-গল্প-উপন্যাস লিখতে পছন্দ করেন; ছবি আঁকেন। তবে ১০১ গান একসঙ্গে বাজারে ছেড়ে দেয়ার আগে পর্যন্ত আমার ধারণা ছিল সিনেমা নির্মাণের দিকেই মনে হয় নির্ঝরের আসল ঝোঁক। ‘আহা’ নামে একটা সিনেমা বানিয়েছিলেন। হুমায়ূন ফরিদী তাতে দারুণ অভিনয় করেন। ঢাকায় একেকটা পুরনো বাড়ি ভেঙে ফেলে বহুতল ভবন গড়া হচ্ছে- তাতে হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবোধ, সম্পর্ক, জীবনের প্রসারতা, জীবনযাপনের স্বাধীনতা- এসব বিষয় নিয়ে সেই সিনেমা। ফাহমিদা নবীর কণ্ঠে ‘চুপি চুপি’ গানটি বেশ ভালো লেগে যায়। পরে জানলাম গানটি নির্ঝরেরই লেখা। যা হোক ‘এক নির্ঝরের গান’ প্রকাশ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অভিনব এক আয়োজন করা হয়েছিল। অভিনব শব্দটার সঙ্গে অত্যাধুনিক শব্দটাও জুড়তে হবে। লেজার রশ্মির ছটা, ভিডিওর পরিবেশনা, মঞ্চে ক্যাটওয়াক, নাট্যযোজনা, সঙ্গীত, ভাষণ- সব মিলিয়ে উপভোগ্য। নিজ পরিকল্পনা সম্পর্কে নির্ঝর বলছেন, ‘নতুন পুরনো, বড়-ছোট, চেনা-অচেনা আত্মাগুলো যুক্ত হয়ে সমকালীন বাংলা গানের মজবুত ভিত গড়ার আরেকটা প্রচেষ্টা।’ অভিনন্দন সৃজন-ঝরঝর নির্ঝর। ‘মনের ওজন’, তিল থেকে তাল’, ‘রূপের আয়না’সহ ১২ পর্বে বিন্যস্ত গানশালা নিবেদিত ১০১ গানের কথার অভিনবত্ব গানের শ্রোতাদের পাশাপাশি কাব্যপ্রেমীদেরও ভিন্ন স্বাদ দেবে বলেই মনে করি। আবার লোডশেডিং আবার লোডশেডিং শুরু হয়েছে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় নিয়মিতভাবে। উত্তরায় যে এলাকার লোডশেডিংয়ের ভুক্তভোগী আমি সেখানে দিনে পাঁচ বার লোডশেডিংয়ের ঘটনাও ঘটছে। বেশ সকালে, আবার গভীর রাতে এর আগে তেমন লোডশেডিংয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হতে পারিনি। এবার তার ব্যতিক্রম। ঢাকা মহানগর সম্প্রসারিত হতে হতে এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে সব এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত থাকার বিষয়টিও প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হয়। তারপরও গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মে-জুন মাসে ঢাকায় একটু বেশি লোডশেডিংয়ের ফলে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। কারণ ঢাকার গরম মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে ফ্ল্যাটগুলোয় বায়ুপ্রবাহ স্বাভাবিক সচল না থাকায় গরম সেখানে আটকে থাকছে। ফলে আরও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে নগরবাসীর। লোডশেডিং বা বিদ্যুতহীনতার সময় বিকল্প বিদ্যুতের জন্য ঢাকার বহু ফ্ল্যাটবাড়িতে জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। যন্ত্রটির তীব্র শব্দ অত্যন্ত বিরক্তিকর। এ জাতীয় শব্দদূষণ কতটা ক্ষতিকর মানবদেহের জন্য এ বিষয়ে এখনও কোন প্রতিবেদন দেখিনি। জেনারেটরের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ফুয়েলের গন্ধ দ্রুত বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। জেনারেটরের অবস্থানের কাছাকাছি ফ্ল্যাটের ভেতরে সেই তীব্র গন্ধ এবং কখনও কখনও ধোঁয়া ঢুকে পড়ে। এও বাসিন্দাদের জন্য চরম বিরক্তির কারণ। বিদ্যুতবিঘিœত শহরকে পুরোপুরি শহর বলা যায় কি? আমাদের রাজধানীরই যদি এই দশা হয় তাহলে রাজধানীর বাইরের শহরগুলোর পরিস্থিতি আরও কত অসহনীয় তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আবার জাতীয় সঞ্চালন লাইন থেকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের খানিকটা ভাগ সঞ্চয় বা ধরে রাখার জন্যও বাড়তি বিদ্যুত লাগে। বহু বাড়িতেই আইপিএস যন্ত্রটি রয়েছে যেটি লোডশেডিংয়ের সময় সঞ্চয়কৃত বিদ্যুতের মাধ্যমে বাতি ফ্যানসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটায়। তার ওপর নতুন বিপদ হয়েছে। অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে অতিরিক্ত বিদ্যুত ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ট্রান্সমিটারে বিদ্যুতের লোড বাড়ছে। সাধারণ মানুষের কাছে বিদ্যুত পরিস্থিতি উন্নতির একটি সাধারণ পরিমাপক হলো, লোডশেডিং হচ্ছে কি হচ্ছে না; কিংবা লোডশেডিং হলেও তা কতক্ষণ। আর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করতে না পারলেও তাকে লোডশেডিং বলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘আমাদের এ পুরনো ট্রান্সফরমার, পুরনো লাইনগুলোকে বদলাতে গিয়েই কিন্তু মাঝে মাঝে বিদ্যুতকে বন্ধ রাখতে হচ্ছে এবং বেশকিছু জায়গায় ট্রিপ করে হচ্ছে।’ গুণীজনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন বরেণ্য নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মার জন্মোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল তার ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে। এ উপলক্ষে প্রকৃতিমেলারও আয়োজন করা হয়। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে নিবেদিতপ্রাণ বয়স্ক গুণীজনদের সম্মান জানানো জরুরী কয়েকটি কারণে। প্রথমত, এ সামাজিক স্বীকৃতিতে তিনি আনন্দ লাভ করেন, স্বস্তি পান। গোটা জীবন যিনি সমাজের জন্য অবদান রেখেছেন সেই সমাজ যে সেটার মূল্যায়ন করছে, এমন বোধ ওই ব্যক্তিকে আলোড়িত করে। দ্বিতীয়ত, নতুন প্রজন্মের ভেতর ওই গুণীজন সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি হয়, তার কর্মজীবন থেকে অনেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেন। তৃতীয়ত গুণীজনের গুণের পরিচয় মিলেছে যে অঙ্গনটিতে তার বর্তমান সামগ্রিক অবয়ব কেমন- তার একটি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সর্বোপরি এর মাধ্যমে সমাজে প্রাণ সঞ্চারিত হয়। দ্বিজেন শর্মাকে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন যারা তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। জীবন সায়াহ্নে পৌঁছানো গুণীজনদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানানোর প্রয়াস নেবেন সংশ্লিষ্ট অঙ্গনের কর্মী ও কর্মবীরেরা- এটাই চাওয়া। ১৫ জুন ২০১৫ [email protected]
×