ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কমছে ধানচাষ

বরেন্দ্র অঞ্চলে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৩ জুন ২০১৫

বরেন্দ্র অঞ্চলে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ ধান, পাট, গমসহ বিভিন্ন ফসলের চেয়ে তুলনামূলক লাভ বেশি হওয়ায় রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে আবাদি জমি কেটে রূপান্তর করা হচ্ছে পুকুরে। বিশেষ করে জেলার বাগমারা, পবা ও মোহনপুর উপজেলায় পুকুর খননেন হিড়িক পড়েছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে কিছু কৃষক স্বাবলম্বী হলেও আবাদি জমির পরিমাণ পর্যায়ক্রমে কমে যাচ্ছে। এতে আগামীতে খাদ্য সঙ্কটের শঙ্কাও রয়েছে। জানা গেছে, ধান, গমসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদে সার, বীজ ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা পর্যাপ্ত জমিতে ফসল ফলালেও তেমন লাভ করতে না পেরে ধান চাষের বদলে মাছ চাষেই ঝুঁকে পড়েছেন। রাজশাহীর বাগমারাসহ বিভিন্ন উপজেলার ফসলের জমি খনন করে গড়ে তোলা হচ্ছে বড় বড় পুকুর ও দীঘি। রাতারাতি আবাদি জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে মাছের খামার। দুয়েক বছর আগেও যেসব জমি ছিল চাষাবাদের জন্য এখন সেগুলো পরিণত হয়েছে পুকুরে।জেলার তানোর উপজেলার সলিমপুর, মোহনপুরের কেশরহাট ছাড়াও পবা ও বাগমারার বিভিন্ন ফসলের মাঠ এখন পরিণত করা হয়েছে পুকুরে। গত এক বছরেই জেলার পবা ও বাগমারা উপজেলায় নুতন করে অন্তত দেড় শ’ পুকুর খনন করা হয়েছে। এভাবে ধানসহ অন্যান্য ফসলি জমিকে রাতারাতি পুকুর ও দীঘিতে রূপান্তর করে সেখানে মাছ চাষ করে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও এলাকায় খাদ্য সঙ্কটসহ জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বিনষ্ট এবং বন্যাসহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। বাগমারা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুরাতন পুকুর-দীঘির পরিসংখ্যান তাদের কাছে থাকলেও নতুন করে খনন করা পুকুর-দীঘির সংখ্যা নেই।
×