ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফতুল্লা টেস্ট

বৃষ্টিতে ভেসে গেল দ্বিতীয় দিন

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১২ জুন ২০১৫

বৃষ্টিতে ভেসে গেল দ্বিতীয় দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম দিনের এক সেশন বৃষ্টিতে খেলা হয়নি। দ্বিতীয় দিন পুরোটাই সেই বৃষ্টিতে ভেসে গেল। তাতে ভারত যে প্রথম দিনে ২৩৯ রান করেছিল, সেখানেই আছে। একটি বলও দ্বিতীয় দিন মাঠে গড়ায়নি। পরিত্যক্ত হয়ে যায়। আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়। কিন্তু এরও কোন নিশ্চয়তা নেই। বৃষ্টি যে আরও কয়েকদিন হবে আবহাওয়া বার্তাই পাওয়া যাচ্ছে। টেস্ট ম্যাচ একেকটি সেশনের খেলা। একেকটি দিনের খেলা। প্রতিটি সেশন, প্রতিটি দিন জয়ের খেলা। প্রথম দিনে একটি সেশন জিতে নিয়েছিল বৃষ্টি। বাকিটা সময় জিতেছে ভারতই। সেই হিসেবে, দ্বিতীয় দিন পুরোটাই জিতে নিল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অঝোরে বৃষ্টি ঝরেছে। আকাশ কালো হয়ে এসেছে। এমন অবস্থা দেখে বাংলাদেশ ও ভারত ক্রিকেটাররা হোটেল থেকে স্টেডিয়ামেই আসেননি। বৃষ্টি ১২টায় থেমেছে। কিন্তু ততক্ষণে সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের অবস্থা বারোটা বেজে গেছে। শেষে দুপুর সোয়া ১টায় মাঠ পরিদর্শন করে, খেলা চালানো যায় কিনা দেখা হয়। কিন্তু খেলা না চালানোর সিদ্ধান্তই আসে। পৌনে ২টায় ম্যাচ রেফারি থেকে সিদ্ধান্ত আসে, দ্বিতীয় দিনের খেলা হচ্ছে না। তখন সবার মনে প্রশ্ন জাগে, আসলেই কী এক ঘণ্টাও খেলা চালানো যাবে না? দুপুর সাড়ে তিনটায় যখন আকাশ পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে এল, মাঠকর্মীরা মাঠ থেকে কাভারও ওঠাতে থাকল, তখন সেই প্রশ্ন বারবার এসেছে। যতদূর জানা গেল, বৃষ্টির শঙ্কাতো আছেই। এর সঙ্গে বজ্রপাত যে হচ্ছে, বৃষ্টি না এলেও সেই বজ্রপাতের জন্যই খেলা মাঠে আর না গড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ রেফারি। সকাল থেকে যে অবস্থা দেখা গেছে, তাতে বৃষ্টি যে আর আসবে না, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়নি। প্রথম দিন যখন ধাওয়ান ১৫০ রান ও বিজয় ৮৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন, তখন হয়ত ধাওয়ানের মনে ডাবল শতক ও বিজয়ের মনে শতকের স্বপ্নই দেখা হচ্ছিল। দ্বিতীয় দিন সেই স্বপ্ন নিয়েই নামার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাট হাতে নামতেই পারলেন না। আফসোস তাই দীর্ঘায়িতই হতে পারে ভারতের এ দুই ওপেনারের। দুপুর ১২টায় বৃষ্টি থামার পরও আকাশ অন্ধকারই থাকে। তখন আম্পায়াররা মাঠে প্রবেশ করে চতুর্দিকে হেঁটে দেখেন। দুপুর ১টায় এমন একটা পরিস্থিতি দেখা গেছে, মাঠে কাউকেই দেখা যায়নি। এমনকি মাঠকর্মীদেরও না। মাঠ কাভার দিয়ে ঢাকাই থাকে। কোনভাবেই কাভার ওঠানো যাচ্ছিল না। যখন সাড়ে তিনটায় ওঠানো হলো, আবার চারটায় কাভার দিয়ে উইকেট, মাঠ ঢাকা হলো, তার আগেই দিনটি পরিত্যক্ত হয়ে গেল। হাতে আছে ম্যাচের এখন তিন দিন। যে অবস্থা তাতে এ তিন দিনেও খেলা হয় কিনা সন্দেহ। যদি খেলা হয়, তাহলে ধরেই নিতে হবে ওয়ানডের ব্যাটিং প্র্যাকটিস দুই দলই সেরে নিতে চাইবে। তাতে যদি পুরো তিন দিন খেলা হয়, তাহলে বাংলাদেশের বিপদ শেষ হয়ে যায়নি। এর আগেও চার দিনে ম্যাচ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের আছে। গতবছর থেকে এ বছর পর্যন্ত তিন বার সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ খুলনা টেস্টে দুর্দান্ত খেলে ড্র করে মিরপুর টেস্টেই পাকিস্তানের বিপক্ষে চারদিনে ম্যাচ হেরে গেছে বাংলাদেশ। তাই সামনের তিন দিন পুরো খেলা হলে বাংলাদেশের বিপদ যে প্রথম দিনেই এসেছে, তা বজায় থাকবে। কিন্তু তিন দিন পুরো খেলা না হলে ফতুল্লা টেস্ট থেকে রেজাল্ট বের করা কঠিন। জুনে প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে কোন টেস্ট হচ্ছে। সেই টেস্টটি তাই ড্র হচ্ছে বলাই যায়। দ্বিতীয় দিনটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সেই পথেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট।
×