ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর ড. রওশন আলী কলেজ

পূর্বের ঠিকানা বহালের চেষ্টা ॥ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে বাদ!

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ১১ জুন ২০১৫

পূর্বের ঠিকানা বহালের চেষ্টা ॥ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে বাদ!

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ড. রওশন আলী কলেজ অব সায়েন্স, টেকনোলজি এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্টের পূর্বের ঠিকানা বহাল করতে গিয়ে যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্যের আক্রোশের শিকার হয়েছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। যশোর ও ঝিনাইদহের সীমান্ত রেখার ওপর নির্মিত কলেজটির পূর্বের ঠিকানা বহাল হলে তা ঝিনাইদহে চলে যাবে। এতে যশোরের সংসদ সদস্যের কর্তৃত্ব থাকবে না। তাই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. রওশন আলীকে বাদ দিয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে গভর্নিং বডির সভাপতি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রফেসর ড. রওশন আলী এসব বিষয় তুলে ধরে কলেজটির মঙ্গলের স্বার্থে পূর্বের ঠিকানা বহালের আবেদন জানান। ড. রওশন আলী জানান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাঝদিয়া গ্রামে তার প্রতিষ্ঠিত ড. রওশন আলী কলেজ অব সায়েন্স, টেকনোলজি এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। যশোর ও ঝিনাইদহ জেলার সীমান্ত রেখা বরাবর স্থাপিত কলেজটির ২ দশমিক ৩০ একর জমি ঝিনাইদহের এবং যশোর সদর উপজেলার ১ দশমিক শূন্য ৮ একর। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় কলেজটির ঠিকানা ঝিনাইদহের ছিল। কিন্তু এর পোস্ট অফিস ছিল যশোর সদরের নাটুয়াপাড়ায়। ফলে ডাক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হতো। এ কারণে যশোর শিক্ষাবোর্ডের নিদের্শনা মেনে যশোর সদরের অংশে আরও কিছু জমি কিনে ১ দশমিক শূন্য ৮ একর করা হয়। এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৪ সালে কলেজটির ঠিকানা যশোর করা হয়। কিন্তু এখন সেই নাটুয়াপাড়া পোস্ট অফিসটিই উঠে গেছে। এখন কলেজের পোস্ট অফিস ঝিনাইদহ জেলার হাট বারোবাজার। ফলে সেই সমস্যা আবার ফিরে এসেছে। এ সমস্যা দূর করতে এবং যেহেতু কলেজটি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মাঝদিয়া মৌজায় অবস্থিত তাই গত জানুয়ারিতে পূর্বের ঠিকানা বহাল করার জন্য আবেদন করেছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. রওশন আলী। কিন্তু এ আবেদনে বিরাজভাজন হয়েছেন যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি ঠিকানা পরিবর্তন ঠেকাতে ডিও লেটার দিয়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রফেসর ড. রওশন আলীকেই সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। কারণ কলেজের ঠিকানা ঝিনাইদহে চলে গেলে তার কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। তাই ড. রওশন আলীর স্থলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে মনোনীত করেছেন তিনি। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে যাদের নাম এসেছে তাদের অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যার সঙ্গে জড়িতরা দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপির সন্ত্রাসী। তাই সন্তাসীদের গ্রেফতারে তিনি প্রশাসনকে আহ্বান জানান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এসএম মাহমুদ হাসান বিপু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এ্যাডভোকেট আলী রায়হান, এসএম আফজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল মতলেব বাবু, শাহারুল ইসলাম, অভয়নগরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক প্রমুখ।
×