ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মার্তার অনন্য কীর্তি- ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১১ জুন ২০১৫

মার্তার অনন্য কীর্তি- ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মঙ্গলবার ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। আর দারুণ জয় দিয়েই টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করেছে সেলেসাওরা। প্রথম ম্যাচে এদিন ফেবারিট ব্রাজিল ২-০ গোলে হারায় দক্ষিণ কোরিয়াকে। এই ম্যাচে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্তা। জার্মানির বারজিত প্রিঞ্জকে টপকে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের জায়গাটা দখল করে নেন দেশটির সফল প্রমীলা ফুটবলার মার্তা। তবে ব্রাজিল জিতলেও ‘ই’ গ্রুপে এদিন কোস্টারিকার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছ স্পেন। এছাড়া ‘এফ’ গ্রুপে শক্তিশালী ফ্রান্স ১-০ গোলে পরাজিত করেছে ইংল্যান্ডকে। কিন্তু এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়া-মেক্সিকোর ম্যাচটিও ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়। কানাডায় চলমান ফিফা প্রমীলা বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই এবার ফেবারিট ব্রাজিল। জয় দিয়ে শুরু করে সেটাকে বাস্তবেও পরিণত করল সেলেসাওদের প্রমীলারা। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ফোরমিগার গোলে লিড পায় এবার ব্রাজিল। এর ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ব্রাজিলিয়ানরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যায় ফোরমিগা-মার্তারা। ৫৩ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ব্রাজিল। এবার গোলদাতা দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মার্তা। পেনাল্টিতে গোল করে দলকে লিড এনে দেন তিনি। কিন্তু একইদিনে ‘ই’ গ্রুপের অন্য খেলায় স্পেন এবং কোস্টারিকার ম্যাচটি ড্র হয়। এর ফলে এই গ্রুপের শীর্ষ দল এখন ব্রাজিল। দলের জয় এবং সেখানে নিজে গোল করে মার্র্র্র্র্র্র্র্তা রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করার মালিক হয়ে উচ্ছ্বসিত মার্তা। তার আগে এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছিলেন বারজিত প্রিঞ্জ। জার্মানির তারকা ফুটবলার প্রিঞ্জ খেলা ছেড়েছেন ২০১১ সালে। কিন্তু তার আগেই পাঁচ টুর্নামেন্ট খেলার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। আর বিশ্বকাপে ২৪ ম্যাচ খেলেছেন এই জার্মানির তারকা ফুটবলার। এই সময়ের মধ্যে তিনি প্রতিপক্ষের জালে ১৪ বার বল জড়ান। প্রিঞ্জের মতো মার্তাও এবার নিয়ে খেলেছেন মোট পাঁচ বিশ্বকাপ। কিন্তু তার খেলা ম্যাচের সংখ্যা ১৫। প্রতিপক্ষের জালে জড়ানো গোলের সংখ্যাও সমান ১৫। শৈল্পিক ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। ছেলেদের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। কিন্তু ব্যতিক্রম ব্রাজিলের প্রমীলারা। ১৯৯১ সালে শুরু ফিফা প্রমীলা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ব্রাজিল। এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের সেরা ফলাফল বিশ্বকাপে রানার্সআপ। ২০০৭ সালে এই মার্তার অসাধারণ পারফর্মেন্সের সৌজন্যেই রানার্সআপের ট্রফি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
×