ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রহস্যে ঘেরা মার্কিন নৌ বাহিনীর এলিট টিম নেভিসিল-৬

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৯ জুন ২০১৫

রহস্যে ঘেরা মার্কিন নৌ বাহিনীর এলিট টিম নেভিসিল-৬

সোমালিয়ার দুর্গম এলাকায় গোপন ঘাঁটি থেকে তারা প্রাণঘাতী অভিযানের পরিকল্পনা করেছে। আফগানিস্তানে তারা এতো ঘনিষ্ঠভাবে যুদ্ধে জড়িত যে তারা রক্তচোষা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা তাদের নিজেদের নয়। মধ্যরাতের গোপন অভিযানে তারা বেছে নিয়েছিল স্বয়ংক্রিয় কারবাইন রাইফেল থেকে শুরু করে আধুনিক টমাহ্যাক ক্ষেপণাস্ত্র। তারা বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক নৌকার ছদ্মবেশে গোয়েন্দা কেন্দ্র পরিচালনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র যাদের ধরতে ও হত্যা করতে চায়, তাদের খুঁজে বের করতে তারা বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির বেসামরিক কর্মীর ছদ্মবেশে এবং দূতাবাসের ছত্রছায়ায় নারী-পুরুষ যুগল হিসেবে কাজ করছে। এই অভিযানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নেভিসিল টিম-৬’এর গোপন ইতিহাসের অংশ। যা দেশের সবচেয়ে রহস্যময়, গোপন ও পরিকল্পিত সামরিক সংগঠন। বিরল কিন্তু বিশেষ অভিযানের জন্য রিজার্ভ রাখা এক সময়ে ছোট এই দলটি এক দশকের বেশি সময়ের যুদ্ধের মাধ্যমে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর বিশ্বব্যাপী মানুষ হত্যার মেশিনে পরিণত হয়েছে। সন্দেভাজন জঙ্গীদের বিরামহীনভাবে হত্যার ফলে আমেরিকার নতুন যুদ্ধ কৌশলে তাদের ভূমিকা প্রতিফলিত হয়। ক্ল্যাসিফাইড স্পেশাল অপারেশনস ইউনিট সিল টিম-৬’এর প্রায় সবকিছুই গোপনীয়তায় আবৃত। এমনকি পেন্টাগনও এই নাম প্রকাশ্যে স্বীকার করে না। এ সত্ত্বেও তাদের কিছু কার্যকলাপ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। তবে আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের সময় টিম-৬ অন্যত্র অভিযান পরিচালনা করেছে। যা সেনা ও গোয়েন্দার মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে দিয়েছে। টিমের স্নাইপার ইউনিট গোপন গোয়েন্দা অভিযান পরিবর্তন করেছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) বিশেষ অভিযান ওমেগা প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছে সিল সদস্যরা। টিম-৬ হাজার হাজার বিপজ্জনক অভিযান সফলভাবে পরিচালনা করেছে। এর ফলে জঙ্গী নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তবে তাদের এ কর্মকা-ের ফলে অতিরিক্ত হত্যাকা- ও বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। -ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস
×