ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মে মাসে সার্বিক মূল্যসূচক ১৬৬ দশমিক ৮ পয়েন্টে নেমেছে

খাদ্যপণ্যের দাম ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ৮ জুন ২০১৫

খাদ্যপণ্যের দাম ৬ বছরের  মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমছেই। মে মাসে তা আরও এক ধাপ কমে প্রায় ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে গেছে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর খাদ্যপণ্যের দাম এতটা নিচে ছিল না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। খবর রয়টারস, আল অ্যারাবিয়া ও ইউএন নিউজ সেন্টার এর। এফএও প্রধান পাঁচটি খাদ্যপণ্য নিয়ে একটি সূচক প্রণয়ন করেছে। এর ভিত্তিতে প্রতি মাসেই খাদ্য মূল্য পরিস্থিতির রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে সংস্থাটি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, গম ও ভুট্টাসহ দানাদার শস্য, তেল, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস ও চিনি। এর প্রতিটির জন্য রয়েছে সাব-সেক্টর ইন্ডেক্স বা উপ-খাত ভিত্তিক মূল্যসূচক। এফএও’র সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে সার্বিক মূল্যসূচক এপ্রিলের চেয়ে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ কমে ১৬৬ দশমিক ৮ পয়েন্টে নেমেছে। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সূচক কমেছে ৪৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ। সূচক এতটা কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে দানাদার শস্য ও ডেয়ারি প্রোডাক্টস বা দুগ্ধ জাতীয় পণ্যের দর পতন। দানাদার শস্যের বিপুল উৎপাদন আর আগের পর্যাপ্ত মজুদের কারণে বাজারে এর যোগান অনেক বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে চিন ও মেক্সিকোতে ভুট্টা ঘরে তোলা শেষ। উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকায় গম উত্তোলন চলছে। মে শেষে দানাদার শস্যের সূচক ৬ দশমিক ৪ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ ওই মাসে এপ্রিলের চেয়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কম দামে দানাদার খাদ্য কেনাবেচা হয়েছে। এ মূল্য ২০১০ সালের মে মাসের পর সবচেয়ে কম। মে মাসে বিশ্ববাজারে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ ও মাংসের দাম ১ শতাংশ ২ শতাংশ কমেছে। তবে এ সময়ে তেলের দাম ২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। অনেক দিন পর বেড়েছে চিনির দাম (২ শতাংশ)। সম্ভাব্য এল নিনোর (জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কখনও এর প্রভাবে তীব্র খরা দেখা দেয়, কখনও প্রবল বৃষ্টি) কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে মূলত তেলের সরবরাহ হ্রাসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন আশঙ্কার মুখে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি করেছে চীন। তাতেও বাজারে বাড়তি চাপ পড়েছে। অন্যদিকে সূর্যমুখী এবং সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। সব মিলিয়েই তেলের দামে উর্ধগতি। এদিকে অশোধিত চিনির সবচেয়ে বড় যোগানদার ব্রাজিলে মাড়াই মৌসুম শুরু হতে বিলম্বের কারণে বিশ্ব চিনির বাজারে প্রভাব পড়েছে। গত অক্টোবরের পর মে মাসেই প্রথম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে চিনির সূচক তথা দাম।
×