ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য পাঁচ সুখবর

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ৫ জুন ২০১৫

বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য পাঁচ সুখবর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে কর্পোরেট কর, লভ্যাংশের হার বাড়ানোসহ পাঁচটি সুখবর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুুহিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পুঁজিবাজারের জন্য এসব সুখবর সুপারিশ করেন। বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগের অর্থবছরে এ সীমা ছিল ২০ হাজার টাকা। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ভাল লভ্যাংশ দেয়ায় উৎসাহিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে। তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি ১৫ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করলে জরিমানার কবলে পড়তে হবে। আর জরিমানা হিসেবে গুনতে হবে ৫ শতাংশ বাড়তি কর। তবে আর্থিক খাত তথা ব্যাংক, বীমা ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। যেসব কোম্পানি ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করবে সেগুলোকে প্রযোজ্য কর দিলেই চলবে। লভ্যাংশ নগদ বা বোনাস শেয়ার- যে ধরনেরই হোক না কেন কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাবে। শাস্তিমূলক কর হার এড়াতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে অবশ্যই হিসাব বছর শেষ হওয়ার ৬ মাসে মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হবে। কোন কোম্পানি ১৫ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিলে অবণ্টিত নিট মুনাফার ওপর (মুনাফা থেকে লভ্যাংশ বাদ দিলে যা থাকবে) বাড়তি ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। অন্যদিকে, কোন কোম্পানি তার পরিশোধিত মূলধনের ২০ শতাংশ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ছাড়লে ওই কোম্পানি সংশ্লিষ্ট বছরের প্রযোজ্য আয়করের ওপর ১০ শতাংশ কর রেয়াত পাবে। বাজেটে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে উৎসে কর আদায় থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। এ জন্য আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩(ও) ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। গত অর্থবছরে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে ফার্ম বা কোম্পানি করদাতার মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায়ের যে বিধান করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থ আইন ২০১৫ অনুযায়ী ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কর হার ৪২.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ রয়েছে। আর্থিক খাত ব্যতিত অন্যান্য কোম্পানির কর হার ২৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। টেলিকম কোম্পানির ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৪০ শতাংশ ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির ৪৫ শতাংশের পূর্বের অবস্থা বহাল রয়েছে। অন্যদিকে টোব্যাকো কোম্পানির কর হার ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
×