ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

আইএস উত্থানে নিজের ভূমিকা মুছতে চান ব্লেয়ার

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৫ জুন ২০১৫

আইএস উত্থানে নিজের ভূমিকা মুছতে চান ব্লেয়ার

ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এ্যান্ড সিরিয়ার (আইসিল) উত্থানে তার ভূমিকা ‘মুছে ফেলা’র চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আইএসের উত্থান নিয়ে তার দাতব্য ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের ভূমিকা সম্পর্কে সামান্য কথা উল্লেখ করা হলে ওই অভিযোগ ওঠে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফেইথ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে ‘হুয়াট ইজ আইসিস?’ শীর্ষক এক পটভূমি নিবন্ধে ওই সন্ত্রাসী দলের উত্থানের এক বিস্তারিত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ইরাক আক্রমণ ইরাকে কি ভূমিকা পালন করেছিল, তার সামান্যই উল্লেখ করা হয়। তার বদলে সেখানে ‘২০০৩ ও ২০০৭ সালের মধ্যে ইরাকের অরাজকতায় নিমজ্জিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। ঐতিহাসিকরা বলেছেন যে, সেই ইরাক আক্রমণ এবং সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর সৃষ্ট ক্ষমতার শূন্যতা আইএসের উত্থানে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও চলতি বছরের প্রথমদিকে স্বীকার করেন যে, আইএস ‘আল কায়েদা ইন ইরাক থেকে সরাসরি উৎপত্তি লাভ করে। আর আমাদের আক্রমণের ফলেই আল কায়েদা ইন ইরাকের উদ্ভব ঘটেছিল।’ তিনি বলেন, এটি অনভিপ্রেত পরিণতির এক দৃষ্টান্ত। এ জন্য আমাদের উচিত গুলি ছোড়ার আগে সাধারণভাবে লক্ষ্য স্থির করা। টোরি দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য ন্যানড্রু ব্রিজেন বলেন, এটি হলো মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস নতুন করে লেখা এবং এতে টনি ব্লেয়ারের ভূমিকা মুছে ফেলার এক অস্বস্তিকর প্রয়াস। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা এমন রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছিল, যেখানে আইসিলের বিস্তার ঘটতে পেরেছিল। ফেইথ ফাউন্ডেশনের এডিটরিয়েল ম্যানেজার পিটার ওয়েলবি ওই নিবন্ধটি লেখেন। তিনি ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপের পুত্র। এতে ব্যাখ্যা করে বলা হয় যে, আইসিলের শিকড় ২০০২ সালেই গজিয়েছিল বলে দেখা যায়, যখন জর্দানি জঙ্গী আবু মুসার আল জারকাবি উত্তর ইরাকে এক চরমপন্থী দল গঠন করেছিল। নিবন্ধে বলা হয়, ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণের পর জারকাবির সংগঠন আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ২০০৪ সালে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় এবং আল কায়েদা ইন ইরাক বলে পরিচিত হয়।
×