ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জিয়ার মাজার জিয়ারত খালেদার

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ৪ জুন ২০১৫

জিয়ার মাজার জিয়ারত খালেদার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পবিত্র শব-ই-বরাত উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলানগরে জিয়ার মাজার জিয়ারত করেন। এর আগে বিকেল পৌনে ৬টায় তিনি বনানী কবরস্থানে গিয়ে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন। তিনি দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিয়ে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সভাপতি নূরী আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ এমএ মালেক, মহাসচিব হাফেজ নেসারুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হক প্রমুখ। দেশে উন্নয়নের নামে লিপস্টিক দিয়ে ছবি তোলা হচ্ছে- মঈন খান ॥ দেশের উন্নয়নের কথা বলে ঢাকায় ফ্লাইওভার আর মেট্রোরেলের নাম করে লিপস্টিক দিয়ে ছবি তোলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন ঢাকায় ফ্লাইওভার আর মেট্রোরেল করে শহরকে সাজানো যাবে, কিন্তু গ্রামের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না। দেশ পরিচালনায় সরকারের নীতির সমালোচনা করে মঈন খান বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ অন্ধকারে, মানুষের এখন জীবিকা নেই। তাই জীবন বিসর্জন দিয়ে নৌকায় করে সাগরে পাড়ি দিচ্ছে মানুষ। এটাই এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির আসল পরিচয়। গ্রামের উন্নয়ন না হলে এভাবেই মানুষ সাগরে পাড়ি দেবে। সারাদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য যেখানে কোন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে না, সেখানে ঢাকায় ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়। মঈন খান বলেন, সরকার বলছে বিএনপি ক্যান্টনমেন্ট থেকে গড়ে উঠেছে। সরকারের দমননীতি অব্যাহত থাকলে ক্যান্টনমেন্ট থেকেই নেতৃত্ব গড়ে উঠতে হবে। জিয়াউর রহমান যখন ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তখন বলতে হবে ক্যান্টনমেন্ট থেকেই নেতৃত্ব গড়ে উঠতে হবে। যখন রাজনীতিবিদদের ক্রসফায়ারে দেয়া হয়, জেলে ঢোকানো হয় তখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে উঠবে কিভাবে? ভাগাভাগির প্রেসক্লাব দেখতে চায় না বিএনপি- রিপন ॥ জাতীয় সংসদের মতো বিএনপি ভাগাভাগির জাতীয় প্রেসক্লাব দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, যারা ভোট ছাড়া সমঝোতার কমিটিতে গিয়েছে তাদের কাউকে বিএনপির লোক বলে ভাবতে চাই না। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিপন বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব হলো গণতন্ত্রের সূতিকাগার। আমরা শুনেছি সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী সাংবাদিকরা মিলে একটি কমিটি গঠন করে নির্বাচিত কমিটিকে সরিয়ে দিয়েছেন। আমরা ভাগাভাগি করে কিছু চাই না। আমরা এটাকে জাতীয় প্রেসক্লাব হিসেবেই দেখতে চাই।
×