ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্জনের অস্বীকৃতি

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ৪ জুন ২০১৫

অর্জনের অস্বীকৃতি

পারিবারিকভাবে নারী কতটা বৈষম্যের শিকার তার পরিসংখ্যান নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। কেউ কেউ ভাবেন তাও সত্যি। তাঁদের সংখ্যাও নিতান্তই কম। সর্বোপরি নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ, বৈষম্য-এগুলো বন্ধে কোন পদক্ষেপই কাজে আসছে না। আসলে নারীরা নারীদের কাছ থেকেই বৈষম্যের শিকার হন প্রথম পরিবার থেকেই। অনেক নারীর মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি দুু’রকম। যেমন- নিজের মেয়ের বেলায় এক রকম আর অন্যের মেয়ের বেলায় সেটা একেবারেই অন্যরকম। আমাদের সমাজ, পরিবার এই অনিয়মকেই প্রশ্রয় দিয়ে আসছে দিনের পর দিন। আবার কেউ কেউ সে অনিয়মগুলো সমর্থনও করেন জোরালোভাবে। কিন্তু সার্বিকভাবে কোন্টা করা উচিত, কিভাবে নিজেকে সেসব বিষয়ে আরও সমৃদ্ধ করে অন্যকে সচেতন করা যায়, সেই পরিকল্পনাও প্রয়োগ থেকে সর্বদাই নিজেকে লুকিয়ে রাখছেন। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন। ফলে নির্মম নির্যাতনের, অপ্রত্যাশিত প্রতারণার শিকার অসংখ্য অসহায় নারীর চাপা কান্না, ক্ষোভ, ঘরের চারদেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। বাইরে তা আর কেউ জানতেই পারেন না। প্রতারকরা পরবর্তীকালে নির্যাতন, অবহেলা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহিত হয়। আবার অনেক নারী সংসারের শান্তি, পারিবারিক সম্মান, সার্বিক কল্যাণের কথা ভেবে নীরবে এসব মুখ বুজে সহ্য করে নেন। যদিও বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের সমাজে এখনও সচেতনতাবোধ গড়ে ওঠেনি উল্লেখযোগ্য হারে। আবার যৌতুকের জন্য অনেক শিক্ষিত কর্মজীবী নারীও নির্যাতিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অদম্য নারী প্রতিকূল পরিবেশেও নিজেকে খাপ খাইয়ে জীবনকে অতিবাহিত করছেন প্রতিবাদ, প্রতিরোধ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখে। মানিয়ে নেয়াটাই যেন তার একমাত্র করণীয়। কাউকে বিব্রত করতে চায় না নারী। এই মুহূর্তে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন খুবই জরুরী। নারীও একজন মানুষ, তারও সবকিছু নিজের মতো করে পাওয়ার, ভোগ করার অধিকার রয়েছে। এ সচেতনতা সব নারীর মধ্যে আবশ্যক। বিশ্বে সব নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। নারীর সব ধরনের অর্জনকে স্বীকৃতি দেয়া হোক। নারীর অদম্য পথচলায় সবার সহযোগিতা পরিপূর্ণতা পাক। পূর্ব শাহী ঈদগাহ, টিবি গেট, সিলেট থেকে
×