ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

গ্যালারি কসমসে ২৪ শিল্পীর ছাপচিত্র প্রদর্শনী ‘রিমিক্সিং ইল্যুশন’

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২ জুন ২০১৫

গ্যালারি কসমসে ২৪ শিল্পীর ছাপচিত্র প্রদর্শনী ‘রিমিক্সিং ইল্যুশন’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের চারুকলা ভুবনে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছাপাই ছবি। সম্প্রতি চিত্রকলার মাধ্যমটিতে সঞ্চারিত হয়েছে নতুন গতিধারা। সেই স্রোতধারায় কানাডাপ্রবাসী শিল্পী আলমগীর হক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচালনা করেন দুই মাসের কর্মশালা। ছাপচিত্র শাখার নবীন চারুশিল্পীদের দেয়া হয় ওয়াটার লিথোগ্রাফি পদ্ধতিতে ছাপচিত্র সৃজনের প্রশিক্ষণ। সেই সূত্রে ছাপচিত্র শাখায় বিশ্বের উন্নত ধারায় প্রকাশমান শ্রমসাধ্য এই শিল্পমাধ্যমটির সূচনা হলো এ দেশে। আর ছাপাই ছবির নতুন করণকৌশলে চিত্রিত সেসব চিত্রকর্ম নিয়ে মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের গ্যালারি কসমসে শুরু হলো প্রদর্শনী। ২৪ শিল্পীর চিত্রকর্মে সাজানো যৌথ এ প্রদর্শনীর শিরোনাম রিমিক্সিং ইল্যুশন। সোমবার জ্যৈষ্ঠের সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী অ্যাপক আবুল বারক্্ আলভী। উপস্থিত ছিলেন গ্যালারি কসমসের নির্বাহী পরিচালক তেহমিনা এনায়েত। দেশের ছাপচিত্রের মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত এই প্রদর্শনীর চিত্রকর্মগুলো উপস্থাপিত হয়েছে বৈচিত্র্যময় বিষয়। শঙ্কাহীন চিত্তে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো হরিণ, বিশেষ অভিব্যক্তিকে ফুটিয়ে তোলা মানুষের মুখাবয়ব, বিস্তৃতভাবে চারপাশজুড়ে শিকড় ছড়িয়ে দেয়া বিশাল বৃক্ষ, হাঁটু মুড়ে বসে থাকা অসহায় মানুষ কিংবা গাছের ডালে বসে থাকা কাকÑ এমন নানা বিষয়ের সঙ্গে শিল্পীর কল্পিত ভাবনায় ভর করে উপস্থাপিত হয়েছে বিমূর্ত আঙ্গিকের ছাপচিত্র। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেনÑ আলমগীর হক, মোঃ জসিম উদ্দীন, রুহুল করিম রুমি, নিত্যানন্দ গাইন, সুমিত চক্রবর্তী, সোমা মজুমদার, সুমন সূত্র ধর, মারুফ আদনান, সাবিহা মাহবুব, অপু চক্রবর্তী, নিলুফার ইয়াসমিন নীলা, এ. আসান, সুমুসেন, থৈলাচিং মারমা, জিনিয়া আফরোজ, ইফফাত জাহান, নিশাত কামাল চৌধুরী, পূর্ণা পাল, আসমা নাসরীন, সুমন্ত রানী মোহন্তা, শেখ মনির রুবেল, হোসনেআরা, মনিকা নন্দী ও মাধবী নাথ। ৫০টি ছাপচিত্রে সজ্জিত পক্ষকালব্যাপী এ প্রদর্শনী শেষ হবে হবে ১৫ জুন। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বার্জার তরুণশিল্পী চিত্রকর্ম প্রতিযোগিতার দুই দশক ॥ সময়ের বহমানতায় এ বছর দুই দশকে পদার্পণ করছে বার্জার তরুণশিল্পী চিত্রকর্ম প্রতিযোগিতা। আর এই প্রতিযোগিতার ২০ বছর উদ্্যাপনকে সামনে রেখে নতুন মাত্রা দিতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০১৫ সালের প্রতিযোগিতার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীরা পুরস্কারের অর্থমূল্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর, ব্যাঙ্কক ও মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল আর্ট মিউজিয়াম দেখার সুযোগ পাবেন। এছাড়া চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ পুরস্কারজয়ীরা কলকাতার বিশ্বভারতী ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। আর ২০তম আয়োজনে দেশের চিত্রশিল্পে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবীকে প্রদান করা হবে আজীবন সম্মাননা। এছাড়া দুই দর্শক পূর্তির সকল আয়োজন প্রয়াত পথিকৃৎ শিল্পী কাইয়ূম চৌধুরীর স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হবে। সোমবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বার্জার তরুণশিল্পী প্রতিযোগিতার দুই দশক উদ্্যাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানানো হয়। শিল্পকলায় মঞ্চস্থ উদীচীর যুগল অনুনাটক ॥ সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হলো উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ‘দাফন’ ও ‘হত্যার শিল্পকলা’ শিরোনামের যুগল অনুনাটক। মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আহ্বান উঠে এসেছে অনুনাটক দুটিতে। সার্ক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত ‘মৃত্তিকা মায়া’ ॥ সার্ক চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার রৌপ্যপদক পেয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘মৃত্তিকা মায়া’। প্রথম চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করেছে শ্রীলঙ্কার চলচ্চিত্র মোটর বাইসাইকেল। ২৯ থেকে ৩১ মে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় আয়োজিত এবারের উৎসবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানসহ ৮টি দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। শ্রেষ্ঠ তিন ছবিকে দেয়া হয় পুরস্কার। ৯টি শর্টফিল্ম ও ৯টি ফিচার ফিল্ম এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। উৎসবের শেষদিনে চলচ্চিত্রটির পরিচালক গাজী রাকায়েতের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উৎসব কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালকসহ ১৭টি বিভাগে পুরস্কার জিতে নেয় গাজী রাকায়েত পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চলচ্চিত্র ‘মৃত্তিকা মায়া’। মঞ্চস্থ সেলিম আল দীনের নাটক হরগজ ॥ বরেণ্য নাট্যকার সেলিম আল দীন রচিত আলোচিত নাটক হরগজ। সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হলো নাটকটি। নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের দর্শকনন্দিত এ প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। ১৯৮৯ সালে মানিকগঞ্জ জেলার হরগজে সংঘটিত প্রলয়ঙ্করী টর্নেডোর অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৯২ সালে সেলিম আল দীন ‘হরগজ’ নাটকটি রচনা করেন। প্রায়-আণবিক বিস্ফোরণতুল্য সে ঝড়ের পরে প্রথম উদ্ধারকারী দলের সেখানে গমন এবং আকৃতির জগত থেকে তাদের হঠাৎ নিরাকৃতির জগতে উপস্থিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া ও পরিণতি নিয়েই নাটকটি আবর্তিত।
×