ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খেজুর গাছে ঠেস দেয়া রুমে ক্লাস চলছে

কলাপাড়ায় স্কুল ভবন জীর্ণদশা

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২ জুন ২০১৫

কলাপাড়ায় স্কুল ভবন জীর্ণদশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১ জুন ॥ আর কতো ভয়াবহ অবস্থা হলে এ ভবনটিতে ক্লাস নেয়া বন্ধ হবে তা ভেবে পাচ্ছেন না অভিভাবকরা। মূল ভবনের ৯০ ভাগ পলেস্তরা খসে পড়েছে। এখন ইট খুলে পড়ার অপেক্ষা। আড়াআড়ি বিম ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে খেজুর গাছ দিয়ে। ফ্লোর দেবে গেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। তিনটি শ্রেণীকক্ষ এবং ছোট্ট অফিস কক্ষ রয়েছে বিদ্যালয় ভবনটিতে। সব ক’টির চরম বেহাল দশা। যে কোন সময় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। দু’টি বছর এভাবেই ১৮১ শিশু শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। লালুয়া ইউনিয়নের সৈয়দ গাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের এমন ভয়াল ভগ্নদশা। ৫ম শ্রেণীর তামান্না, তাওহীদ জানায়, প্রায় তিন বছর খেজুর গাছ দিয়ে ছাদের সঙ্গে ঠেস দেয়া হয়েছে। মেহেদী হাসান জানায়, ভয়ে অনেকে স্কুলে আসে না। মরিয়মের ভাষ্য, ‘ভয় কইর‌্যা লাভ কী, মরলে মরমু।’ শিক্ষক গাজী আব্দুস সোবাহান জানান, ভবনটিতে এখন আর ক্লাস করানো ঠিক নয়। কোথাও জায়গা নেই তাই জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে। তবে যে কোন সময় পুরো ভবনটি বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা জানালেন, এলজিইডির দুর্নীতির এটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ’৯৩ সালের ৩০ নবেম্বর এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। চার লাখ কুড়ি হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। একবার নামকাওয়াস্তে সংস্কারও করা হয়েছে। অথচ আরও তিন/চার বছর আগে ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ এলজিইডি ডিপার্টমেন্টকে স্কুল ভবনটির বেহাল দশার কথা জানানো হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পাওয়ার আশঙ্কায় আত্মহত্যা স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ উচ্চ মাধ্যমিকে গণিত পরীক্ষা আশানুরূপ হয়নিÑ জিপিএ-৫ না পাওয়ার আশঙ্কায় সোমবার সকালে চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করেছে এক পরীক্ষার্থী। নগরীর পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয় মিজানুর রহমান রাহী (১৮)। পাঁচলাইশ থানা ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরকারী হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল মিজানুর রহমান রাহী। তার বাবা মোঃ শাহরিয়ার ফটিকছড়ি বিএমসি কলেজের গণিতেরই শিক্ষক। গত রবিবার ছিল রাহীর গণিত পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা আশানুরূপ হয়নি। ফলে তার মধ্যে দেখা দেয় সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ না পাওয়ার আশঙ্কা। পরীক্ষার পর থেকে তার মন খারাপ। বাসায় এসে সে বাবা-মাকে জানায় যে, সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি। জিপিএ-৫ হয়ত পাব না। এ নিয়ে ছেলেটি কান্নাকাটিও করে। শেরপুরে ধর্ষক গ্রেফতার নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১ জুন ॥ নকলা উপজেলার মমিনাকান্দা গ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার আসামি মুর্তুজ আলীকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে শেরপুর শহরের থানার মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মুর্তুজ নকলার বালিয়াদী গ্রামের মৃত বাছির ফকিরের ছেলে। গ্রেফতারের পর মুর্তুজ আলী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশের পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে।
×