ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অন্যত্র প্লাবন ও বাঁধে ভাঙ্গন

ভারি বর্ষণে রাজশাহী নগরীতে জলাবদ্ধতা, বজ্রপাতে নিহত ১

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৩১ মে ২০১৫

ভারি বর্ষণে রাজশাহী নগরীতে জলাবদ্ধতা, বজ্রপাতে নিহত ১

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারি বর্ষণে রাজশাহী নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, বজ্রপাতেও মারা গেছে এক নারী। শেরপুরে পাহাড়ী ঢলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত ও জামালপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো- রাজশাহী ॥ কয়েকদিন ধরে ভ্যাপসা গরমের পর শনিবার সকালে রাজশাহীতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে ভারি বর্ষণে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। বৃষ্টিতে মানুষের মনে প্রশান্তি আসলেও জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিও পোহাতে হয়। বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে নগরীর শাহমখদুম এলাকার দেওয়ান পাড়ায় জদেবানু (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামীর নাম নুরুল ইসলাম। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নগরীতে ৬৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল থেকে রাজশাহীতে শুরু হয় বৃষ্টি। সে সঙ্গে বজ্র। কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর এ বৃষ্টি নগর জীবনে স্বস্তির পরশ নিয়ে আসে। তবে পাশাপাশি ভোগান্তিও পোহাতে হয় নগরবাসীকে। ভারি বর্ষণের কারণে নগরীর বেশিরভাগ রাস্তা হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। এতে সকালে অফিস যাওয়া মানুষদের পড়তে হয় ভোগান্তির মুখে। নগরীর উপশহর, কোর্ট এলাকা ছাড়াও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে জমে যায় হাঁটু পানি। শেরপুর ॥ গত ৩ দিনের ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকার ঝিনাইগাতী উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার হাতিবান্দা, ঝিনাইগাতী ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রামের নিচু এলাকার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষেত এবং বেশকিছু পুকুর তলিয়ে গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওইসব কুষক ও খামারি। জামালপুর ॥ উজানের পাহাড়ী ঢল ও প্রবল বর্ষণে জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যমুনার পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার রাতে হারগিলা তারতাপাড়া এলাকায় নির্মিত দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধসে গেছে এবং অন্তত ২০ ফুট ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রমত্তা যমুনার তীব্র ভাঙ্গন ও প্রতিবছর বন্যার কবল থেকে ফসলী জমি বসতবাড়ি রক্ষা করতে ইসলামপুরের নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের হারগিলা তারতাপাড়া এলাকায় ২০১৩ সালে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হয় প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। যমুনা নদী থেকে ২৫-৩০ ফুট উচ্চতা এবং ২০ মিটার প্রস্থর বাঁধটি নির্মিত হওয়ায় নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের হারগিলা তারতাপাড়ার ৪-৫ হাজার একর জমি আবাদযোগ্য হয়। নদী ভাঙ্গন ও বন্যার কবল থেকেও রক্ষা পায় আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন।
×