ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১৭টি লাশ পাওয়া গেছে

ভূমধ্যসাগর থেকে চার হাজার দু’শ’ অভিবাসী উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৩১ মে ২০১৫

ভূমধ্যসাগর থেকে চার হাজার দু’শ’ অভিবাসী উদ্ধার

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টাকালে শুক্রবার চার হাজার ২০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি নৌযানে ১৭ জনের লাশ পাওয়া গেছে। ইতালির কোস্টগার্ড এ উদ্ধার কাজে সমন্বয় করেছে। খবর এএফপির। শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, ২২টি নৌযান থেকে সাহায্যবার্তা পায় ইতালির কোস্টগার্ড। লিবিয়ার উপকূল থেকে বেশিরভাগ বার্তা আসে। তবে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল থেকেও সহায়তার ডাক আসে। গত ২৪ ঘণ্টায় যে সংখ্যক অভিবাসী উদ্ধার করা হয়েছে তা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। তবে এটা রেকর্ড সংখ্যক কিনা তা কোস্টগার্ড নিশ্চিত করতে পারেনি। এর আগে গত ১২ এপ্রিল তিন হাজার ৭৯১ অভিবাসী এবং ২ মে তিন হাজার ৬৯০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। ইতালির নৌবাহিনী টুইটারে জানায়, তিনটি নৌযান থেকে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি দেশটির নৌবাহিনী। ওই নৌযানগুলো থেকে ৩ শতাধিক অভিবাসীকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ইতালি, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ড নৌবাহিনীর জাহাজের সহায়তায় ইতালির কোস্টগার্ড শুক্রবারের ওই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই ধরনের আন্তর্জাতিক সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সে সময় সিসিলি উপকূল থেকে ৭ শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তারা ছয়টি নৌকায় লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিল। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৪শ’র বেশি অভিবাসী ইতালি এসে পৌঁছেছে। সংঘাত ও দারিদ্র্যের জন্য সিরিয়া ও ইরিত্রিয়ার মতো দেশগুলো থেকে তাদের অনেকে পালিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএ) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে এক হাজার ৭৭০ জন মারা গেছে। তবে এর মধ্যে শুক্রবারের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত নয়। পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২২ পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে দুটি বাসের অপহৃত যাত্রীদের ওপর অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণে অন্তত ২০ ব্যক্তি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে বেলুচিস্তানের মাসতুঙ্গ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এদিন লাহোরে পাকিস্তানের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ওয়ান ডে ম্যাচ চলাকালে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের কাছে আত্মঘাতী হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুইজন নিহত হয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদ এ খবর জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও ডন অনলাইনের। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বেলুচিস্তানের পিশিন থেকে করাচীগামী দুটি বাসের যাত্রীদের অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। আয়কর কর্মকর্তা সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, মাসতুঙ্গ এলাকার খাদ কুচায় দুটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে নিয়ে যায় বন্দুকধারীরা। পরে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এক বিবৃতিতে বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি জঙ্গীদের হাতে ২০ যাত্রী নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী এ হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেনি। বাসযাত্রীদের অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ও ফ্রন্টিয়ার কর্পসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে অপহরণকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। জিও নিউজকে তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদ বলেছেন, এক পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতার কারণে স্টেডিয়ামে হামলার লক্ষ্য নস্যাৎ করা গেছে। লাহোরের কালমা চোক এলাকায় হামলাকারীকে আটকাতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা প্রাণ দিয়েছেন। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে খবরটি ‘গোপন’ করায় পাকিস্তানের ব্রডকাস্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রশংসা করেছেন তথ্যমন্ত্রী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রথম গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের কাছে বিস্ফোরণের খবর প্রচার হলেও সেটিকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণ বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরে প্রত্যাহার করা হয়।
×