ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিএম এলপি গ্যাস এখন বাজারে

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৩১ মে ২০১৫

বিএম এলপি গ্যাস এখন বাজারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এলপি গ্যাসের বাজারে যুক্ত হলো নতুন নাম ‘বিএম এলপি গ্যাস’। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের দু’টি কোম্পানি যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নতুন এই কোম্পানি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে এই বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘরে ঘরে সাশ্রয়ী জ্বালানি পৌঁছে দেয়া সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের একার পক্ষে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এ জন্য বেসরকারী খাতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নসরুল হামিদ বলেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ৩ বছরের ৭০ শতাংশ পরিবারে সাশ্রয়ী জ্বালানি পৌঁছে দিতে চাই। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সহায়ক হবে বিএম এলপি গ্যাস। তিনি বলেন, সাশ্রয়ী জ্বালানি ছাড়া মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছা সম্ভব হবে না। প্রয়োজনে এলপি গ্যাসে ভর্তুকি দিতে চায় সরকার। দেশে বছরে প্রায় ৫ লাখ টন এলপি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে সরবরাহে অনেক ঘাটতি রয়েছে বলেও স্বীকার করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বড় সিলিন্ডারে পাশাপাশি ৫ কেজি ওজনের ছোট সিলিন্ডার বাজারজাত করার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিএম এনার্জি (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান বার্ট প্রঙ্ক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এতে অংশ নেন সারাদেশ থেকে আসা পরিবেশক ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা। চট্টগ্রামের বাড়বকু-ে স্থাপন করা হয়েছে এলপিজি বটলিং প্লান্ট। যেখানে রয়েছে ৩ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টোরেজ ট্যাংক। যা পরবর্তীতে ৯ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। দৈনিক ১২শ’ সিলিন্ডার সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে কোম্পানির। বিএম এলপিজির রয়েছে নিজস্ব জেটি। এতে ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এলপিজি বহনকারী জাহাজ ভিড়তে পারবে। জেটি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এলপি গ্যাস যাবে স্টোরেজ ট্যাংকে। সেখানে সিলিন্ডারে ভরে বাজারজাত করা হবে। ক্রেতাদের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় আঞ্চলিক ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে বিক্রয় প্রতিনিধি। ১২, ৩৩ ও ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমেদ। সিঙ্গাপুর থেকে আসবে এলপি গ্যাস। কঠোরভাবে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সাশ্রয়ীমূল্যে সরবরাহের কথা জানান তিনি। বর্তমানে বাজারে রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের বিজি এলপি গ্যাস, টোটাল গ্যাস, যমুনা এলপি গ্যাস, ক্লিনহিট গ্যাস। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ওসিএল। সর্বশেষ যুক্ত হলো বিএম এলপিজি।
×