ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহী সিটি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৩০ মে ২০১৫

রাজশাহী সিটি কলেজে  ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে যুবদল  কর্মী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বান্ধবীকে নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাসের জেরে রাজশাহী সিটি কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নগরীর মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল আরেফিন রবিন ও মহানগর ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিটি কলেজের ছাত্র আশিকুর রহমান তুহিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত যুবকের নাম জীবন শেখ (২৫)। তিনি নগরীর হেমেতখাঁ কারিগরপাড়ার হোসেন শেখের ছেলে। জীবন যুবদলের কর্মী। বন্ধু হিসেবে রবিন ফোন করে জীবনকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তার বাবা ও রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মচারী হোসেন শেখ। জিয়াউর রহমান জিদান নামে পাঁচ মাসের জীবন শেখের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলেও তিনি জানান। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতে খায়ের আলম জানায়, কলেজে আধিপত্য নিয়ে সিটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিনের সঙ্গে একই কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিন মোবাইল ফোনে তুহিনকে সিটি কলেজের সামনে ডেকে নিয়ে গিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে মারপিট করে। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় তুহিনের পিতা নগরীর বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু থানায় রবিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এর পর রাত ১০টার দিকে রবিন তার সমর্থকদের নিয়ে রানীবাজার মোড়ে তুহিনের পিতার চেম্বার ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে চলে যায়। এ সময় তুহিনের বড় ভাই তুষারকে কুপিয়ে জখম করে তারা। এ সময় চেম্বারের সামনে তুষার কেরমবোর্ড খেলছিলেন। আহত তুহিনের বড় ভাই মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী তুষারকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এসি ইফতে খায়ের বলেন, পিতার চেম্বার ও ভাইয়ের ওপর হামলার জের ধরে রাত ১১টার দিকে তুহিন তার সমর্থকদের নিয়ে মালোপাড়া মোড়ে রবিন ও তার গ্রুপের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় সেখানে উভয় গ্রুপের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও গুলিবিনিময় হয়। এ সময় বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার পাঁচটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জীবন শেখ গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জীবনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিনের ডাকে ভাড়াটে হিসেবে জীবন এ ঘটনায় অংশ নেয় বলে জানান এসি ইফতে খায়ের। তিনি বলেন, তুহিনের এক বান্ধবীকে ‘কত নম্বর বান্ধবী’ বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় রবিন। এর প্রেক্ষিতে রবিনকে গালি দিয়ে তুহিন পাল্টা স্ট্যাটাস দেয়। এর জের ধরে রবিন ফোন করে ডেকে নিয়ে তুহিনকে মারপিট করে। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি করেন রাজিব।
×