ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩০ মে ২০১৫

আজ এসএসসি ও সমমানের  পরীক্ষার  ফল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি জামায়াত জোটের নাশকতার কবলে পড়া এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে আজ। সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের কপি তুলে দেয়ার পর দুপুর একটায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশের ফল প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সংবাদ সম্মেলনের পরই শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ ই-মেইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফল জানিয়ে দেবে। এছাড়া স্ব স্ব পরীক্ষা কেন্দ্র, ওয়েবসাইট (িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফৎবংঁষঃং.মড়া.নফ) ও মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানা যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফল তুলে দেয়ার পর সচিবালয়ে বেলা একটায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন। জানা গেছে, যে কোন মোবাইল থেকে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এজন্য এসএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে আবার স্পেস দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার কবলে পড়া এবারের পরীক্ষা ছিল অন্য যে কোন বছরের তুলনায় আলোচিত। পরীক্ষার মাসে লাগাতার হরতাল অবরোধ দিয়ে মানুষ হত্যা ছিল শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সর্বস্তরেরর মানুষের কাছে আতঙ্ক। ৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে পরীক্ষা চলে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যেই প্রায় দুই মাস ধরে চলার পর শেষ হয় লিখিত পরীক্ষা। অথচ ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ১০ মার্চ। একটি দিনের পরীক্ষাও পূর্ব ঘোষিত সময়সূচী অনুসারে হয়নি। দফায় দফায় হরতালে ১৬ দিনে ৩৬৮টি পরীক্ষা পরিবর্তন করতে হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষা পিছিয়ে নিতে হয়েছে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারে। দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা চলায় শিক্ষার্থীদের ফলাফলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এবার ২৭ হাজার ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সারাদেশে তিন হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাত লাখ ৩৩ হাজার ২২০ জন ছাত্র এবং ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন ছাত্রী। আটটি সাধারণ বোর্ডের এসএসসিতে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন, দাখিলে দুই লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ১০ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ের পরীক্ষা এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্নে। এবারই প্রথম গণিত ও উচ্চতর গণিতের প্রশ্ন হয়েছে ‘সৃজনশীল’ পদ্ধতিতে। ১২ দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ॥ বেতন বৃদ্ধিসহ ১২ দফা দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। শুক্রবার বাংলাদেশ সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচী শেষে এ কর্মসূচীর ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আমাদের দাবি না মানলে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ১০ জুন কাল ব্যাজ ধারণ, ১১ থেকে ১৫ জুন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। শিক্ষক নেতা বলেন, মানুষ গড়ার কারিগর বলা হলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয় একজন গাড়ি চালকের চেয়ে কম। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতনের ব্যবধানও অনেক বেশি। প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল আট হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকদের ছয় হাজার চার শ’ টাকা করার দাবি জানান তিনি। আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে আছেÑ প্রধান শিক্ষকদের পদক্রম দশম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের একাদশ গ্রেডে উন্নীত করা, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে পদোন্নতির ভিত্তিতে ওই পদে নিয়োগ, সহকারী শিক্ষক পদটিকে ‘এন্ট্রি পদ’ ধরে মহাপরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতির নীতি প্রণয়ন, শিক্ষা বাজেটের অর্ধেক প্রাথমিক শিক্ষা খাতে ব্যয় নিশ্চিত করা, নিয়োগবিধিতে নারী ও পুরুষের সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা রাখা। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাসরিন সুলতানা, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব শাজাহান আলম সাজুসহ বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।
×