ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লাখো মানুষের ঢল নামবে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৯ মে ২০১৫

লাখো মানুষের ঢল নামবে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আজ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ লাখো মানুষের সমাগম ঘটিয়ে আজ শুক্রবার নাগরিক গণসংবর্ধনা দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বিকাল তিনটায় ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে আয়োজক জাতীয় নাগরিক কমিটি। বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান ও অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে। ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। একের পর এক সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। এর মধ্যে সর্বশেষ অর্জন ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মোহাম্মদ নাসিম জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হককে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই ঘণ্টার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং সরকারের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের বক্তব্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একটি পর্ব থাকছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে সরকারের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে রচিত একটি গান পরিবেশন করা হবে। রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের ভূগর্ভস্থ জাদুঘরের পাশের পানির ফোয়ারার ঠিক দক্ষিণ পাশেই উত্তর দিকে মুখ করে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। মূল এ মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট এবং প্রস্থ ৩০ ফুট। এর সামনেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়েছে আরেকটি মঞ্চ। যার দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট এবং প্রস্থ ৩৬ ফুট। মূলমঞ্চসহ ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২১০ ফুট প্রস্থের এলাকাজুড়ে টানানো হচ্ছে সামিয়ানা। এটাই হবে মূল প্যান্ডেল। এর মধ্যে ২০ হাজার চেয়ার বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলমঞ্চ ছাড়াও পুরো সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান জুড়েই লাগানো হয়েছে শত শত মাইক। আয়োজকদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শ্রেণী-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্রের অব্যাহত চর্চার মধ্যে দৃঢ় ও গতি সম্পন্ন সমৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধি-অগ্রগতি এবং মানুষ স্বস্তি-শান্তি ও নিরাপত্তার ভেতরে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ শামসুল হক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার প্রধান। তাঁর অর্জনগুলো সরকারী মাধ্যমে যতই বলা হোক না কেন, তারপরও একটা কথা থাকে মানুষ কি ভাবছে, জনসাধারণ কী ভাবছে। এ সম্পর্কে কি চিন্তা করছে। সংবর্ধনার আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, জনসাধারণ বা নাগরিকের সেই চেতনা, উল্লাস, ভালবাসার প্রকাশ ঘটিয়ে শেখ হাসিনার সমস্ত কার্যক্রম আরও বেগবান করার লক্ষ্যে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। আজ ইন্দিরা-মুজিব সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এটি মানবিক অর্জন। এই বিশাল ঘটনা সুদূর প্রসারী চিন্তা করে রাষ্ট্রের মানুষের সামগ্রিক উন্নতিগুলো চিহ্নিত করে আমরা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দিতে চাই। একটা স্বীকৃতি দিতে চাই বলেও মন্তব্য করেন সব্যসাচি লেখক শামসুল হক।
×