ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে আনন্দ স্কুলের নামে লুটপাট অনিয়ম তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৮ মে ২০১৫

রাজশাহীতে আনন্দ স্কুলের নামে লুটপাট অনিয়ম তদন্ত শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ তানোরের আনন্দ স্কুল পরিচালনা পর্ষদের ট্রেনিং কো-অডিনেটর (টিসি) আকতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খোদ শিক্ষকরাই অভিযোগ করেছেন। শিক্ষকদের অভিযোগ বেতনের টাকা ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম করেছেন টিসি। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে দেয়া শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছর রস্ক প্রকল্প ফেজÑ২ এর আওতায় তানোর উপজেলায় ৬৫টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব স্কুলে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগকৃত শিক্ষকদের কাছ থেকে শুরুতেই মোটা অঙ্কের টাকা ডোনেশন আদায় করে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ নয়ছয় করেন টিসি আকতারুজ্জামান। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। তবে এসব অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার শিক্ষকদের বেতনের টাকা কমিশন হিসেবে কর্তন করা হয়েছে। এতে শিক্ষকরা আপত্তি জানালে টিসি আকতারুজ্জামান তাদের চাকরিচ্যুতির ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। উপজেলার ময়েনপুর আলিতলা আনন্দ স্কুলের শিক্ষক শিরিনা আকতার, বাউরী গ্রামের শিক্ষক নিলুফা পারভীন, গোল্লাপাড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের শিক্ষক শুভ আহম্মেদসহ বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক টিসি আকতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহীর দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষকদের সাত মাসের বেতন গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সোনালী ব্যাংক তানোর শাখায় জমা হয়। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সময় প্রায় প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কেটে নেন টিসি আকতারুজ্জামান। যারা চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে অসম্মতি জানান তাদের চাকরিচ্যুতের ভয় দেখানো হয়। এদিকে চলতি বছর আরও ৪৩টি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দেবার জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তায়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। টিসি আকতারুজ্জামান ওই নিয়োগ বোর্ডে তার মনোনীত প্রার্থীদের নিয়োগ দেবার নামে মোটা অঙ্কের ডোনেশনের টাকা আদায় করেছেন। তবে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়নি এখনও। যোগাযোগ করা হলে ট্রেনিং কো-অডিনেটর আকতারুজ্জামান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে নিয়োগ বোর্ডের কোন মূল্যায়ন হয়নি। ফলে প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। তবে শিক্ষকদের বেতনের টাকা ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনীরুজ্জামান ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সক্রিয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গুদামে নিচ্ছে না ধান স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সরকারী নির্দেশ সত্ত্বেও ধান কেনা হচ্ছে না রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার খাদ্যগুদামে। এ কারণে ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই উপজেলার কৃষক। তবে এক মাস দেরিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে চাল সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। এতে কেবল চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরাই চাল সরবরাহের সুযোগ পাচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে খাদ্যগুদামের কর্মকর্তারা জায়গা সংকুলানের অজুহাত দেখিয়ে ধান কেনা বন্ধ রেখেছেন।
×