ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইএসের সদর দফতর রাক্কার সাত ভবন!

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৮ মে ২০১৫

আইএসের সদর দফতর রাক্কার সাত ভবন!

মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা সম্প্রতি সিরিয়ার পূর্বে রাক্কা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সাতটি ভবনকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদর দফতর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু গত ১০ মাসে যৌথ বাহিনীর বিমান হামলার সময়ও ভবনগুলোকে কোনভাবে আঘাত করা হয়নি। এদিকে গেল সপ্তাহে ইরাকী বাহিনীকে উৎখাত করে পশ্চিম ইরাকের প্রাদেশিক রাজধানী রামাদির সড়কে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত আইএস সাজোয়া যান নিয়ে প্যারেড করেছে। তখনও তাদের লক্ষ্য করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী কোন হামলা চালায়নি। খবর ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রবাহিনীর বিমানগুলো সাধারণত নির্ভুল লক্ষ্যভেদী অস্ত্রসম্ভার দিয়ে সজ্জিত করা থাকে। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা শত্রুর ওপর কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারছে না। হামলায় বেসামরিক লোক নিহত হতে পারে বলে তারা শঙ্কিত। এভাবে বেসামরিক লোকদের হত্যা আইএস জঙ্গীরা অভ্যুত্থানের প্রধান প্রোপাগান্ডা হিসেবে নিতে পারে এবং স্থানীয় সুন্নি উপজাতীয় মানুষদের বিদ্রোহী করে তুলতে পারে। সিরিয়া থেকে আইএস জঙ্গীদের বিতাড়িত করতে সুন্নি উপজাতির সমর্থন খুবই অপরিহার্য। পাশাপাশি সুন্নি আবর দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত আইএসবিরোধী মিত্রবাহিনীর সদস্য। কিন্তু ইরাকী অনেক কমান্ডার ও বেশকিছু মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিরিয়া ও ইরাকের বেশকিছু অঞ্চল দখলকারী আইএসের ওপর এ ধরনের বিমান হামলা না চালানোর এটি প্রধান কারণ। ইরাকী কর্মকর্তারা জানান, আইএসের ওপর যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োজনে সীমিতপর্যায়ে মার্কিন বিমান হামলা চালানোর অনুমতি রয়েছে। রামাদির আনবার প্রদেশের ইরাকী বাহিনীর মেজর মুহম্মদ আল-দুলাইমী বলেন, আনবারে আইএসের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পর্যাপ্ত সহযোগিতা দিচ্ছে না। তিনি বলেন, আনবারে আইএসের আক্রমণ প্রতিহত করতে ও তাদের পাল্টা হামলা করতে মার্কিন বিমান আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, মার্কিন নের্তৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর অপর্যাপ্ত বিমান হামলার কারণে আমরা আনবারের বিশাল অঞ্চল হারিয়ে ফেলেছি।
×